• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বেক্সিমকোর বন্ডে আবেদনের সময় আরও বাড়ল, ব্যর্থ হলে পাবলিক অফার বাতিল


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১, ০১:৩৪ পিএম
বেক্সিমকোর বন্ডে আবেদনের সময় আরও বাড়ল, ব্যর্থ হলে পাবলিক অফার বাতিল

ঢাকা : সুকুক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে পাবলিক অফারে অর্থ উত্তোলনে দুই দফায় ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো)।

তবে এবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্মতিপত্রে উল্লেখিত ১৫ কার্যদিবসের বাহিরে গিয়ে সাবস্ক্রিপশনের সময় প্রায় আরও ১ মাস বাড়িঁয়ে দিয়েছে। তারপরেও যদি এই সময়ের মধ্যে বন্ডটিতে ডেবট আইন অনুযায়ি প্রয়োজনীয় পরিমাণ আবেদন জমা না পড়ে, তাহলে পাবলিক অফারটি বাতিল করবে কমিশন।

এ বিষয়ে সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) কমিশন থেকে বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডেবট সিকিউরিটিজ রুলসের ১২(২) অনুযায়ি প্রয়োজনীয় আবেদন জমা না পড়লে, পাবলিক অফারটি বাতিল করা হবে।

ডেবট সিকিউরিটিজ রুলসের ১২(২) ধারায় বলা হয়েছে, পাবলিক অফারের যেকোন সিকিউরিটিজে সাধারন বিনিয়োগকারীদের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ আবেদন জমা পড়তে হবে। এছাড়া আন্ডাররাইটারের (অবলেখক) ২০ শতাংশ আবেদনের পড়েও যদি ৫০ শতাংশের কম হয়, তাহলে ইস্যুটি বাতিল হবে।

বেক্সিমকোর ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ডের মধ্যে পাবলিক অফারে ৭৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য গত ১৬ আগস্ট চাদাঁ সংগ্রহ শুরু করে। যার জন্য প্রথম দফায় নির্ধারিত সর্বশেষ সময় ছিল ২৩ আগস্টের বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। ওই সময়ে বন্ডটির চাহিদার ৭৫০ কোটি টাকার বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা মাত্র ৫৫ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বা ৭.৪১৫% আবেদন করেন। এতে ৭১ জন বিনিয়োগকারী আবেদন করেন।

এই ব্যর্থতার পরে বেক্সিমকো সাবস্ক্রিপশনের সময় ১০ কার্যদিবস বাড়ায়। যা সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ফলাফল প্রায় আগের মতোই রয়েছে।

প্রথম দফায় বাড়ানো ১০ কার্যদবিসে বেক্সিমকোর বন্ডটিতে মাত্র ১ জন বিনিয়োগকারী আবেদন করেছেন। যাতে করে ৭৫০ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে মাত্র ৫৫ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বা ৭.৪২৯% আবেদন জমা পড়েছে। অর্থাৎ বর্ধিত সময়ে ১ জন ১০ লাখ টাকার আবেদন করেছেন। কিন্তু চাহিদা পূরণে ঘাটতি ছিল ৬৯৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার।

এরপরে দ্বিতীয় দফায় প্রায় ১ মাস সময় বাড়িঁয়েছে কমিশন। এ দফায় পুরো সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে আবেদন সংগ্রহ করা হবে। যা ৩০ সেপ্টেম্বরের বিকাল সাড়ে ৫টায় শেষ হবে।

কিন্তু বন্ডটির সম্মতিপত্র অনুযায়ি সময় বাড়ানোর সুযোগ ছিল না। তবে বিএসইসি বেক্সিমকোর বন্ডটির ক্ষেত্রে সুযোগ করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, বেক্সিমকোর প্রস্তাবিত গ্রিন সুকুকটির আকার ৩ হাজার কোটি টাকার। এরমধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা আইপিওতে উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ। বাকি ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকার প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের থেকে ৭৫০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ।

গত ২৩ জুন কতিপয় শর্তসাপেক্ষে বিএসইসি বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদী সিকিউরড কনভার্টেবল অথবা রিডেম্বল অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুক এর প্রস্তাব প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।

এই সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করে বেক্সিমকো লিমিটেডের টেক্সটাইল ইউনিটের কার্যক্রম বর্ধীতকরণ এবং বেক্সিমকো দুটি সরকার অনুমোদিত সাবসিডিয়ারি নবায়ন যোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের (তিস্তা সোলার লিমিটেড এবং করতোয়া সোলার লিমিটেড) বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিবেশ উন্নয়ন এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে চায়।

এই সুকুকের প্রতি ইউনিটে অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। সুকুকটির নূন্যতম সাবস্কিপশন ৫ হাজার টাকা ও নূন্যতম লট ৫০টি। সুকুকটির সর্বনিন্ম প্রিয়ডিক ডিস্ট্রিবিউশন রেট ৯ শতাংশ।

সুকুকটির ট্রাস্টি হিসেবে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে যথাক্রমে সিটি ব্যংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস ও অগ্রণী ইক্যুইটি এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাজ করছে।

সোানলীনিউজ/এমএইচ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!