ঢাকা: বাংলাদেশের শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্য, সেখানে বাংলাদেশের প্রবাসী সংখ্যা বেশি। কিন্তু হঠাৎ করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি পরিমাণে প্রবাসী আয় আসাকে অস্বাভাবিক মনে করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সংস্থাটির প্রশ্ন, তাহলে কী পাচারের অর্থ প্রবাসী আয় হয়ে দেশে ফিরে আসছে।
শনিবার (২৭ মে) ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘স্টেট অব দ্য বাংলাদেশ ইকনোমি’ শীর্ষক সভায় সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন প্রবাসী আয় প্রসঙ্গে এ কথা বলেন।
প্রবাসী আয়ের তথ্য তুলে ধরে ফাহমিদা বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় আসা বেড়ে গেছে। গত ২০২১-২২ অর্থ বছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সৌদি থেকে ৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এলেও চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের একই সময়ে এসেছে ৩ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থ বছরের একই সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের একই সময়ে তা বেড়ে ৩ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বাভাবিক।
তিনি বলেন, এটা একেবারেই অস্বাভাবিক, কখনোই হয় না। গত ১০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৯ দশমিক ২২ লাখ মানুষ গেছে। সেখান থেকে প্রত্যাশা মতো রেমিট্যান্স আসছে না। লোক যাওয়া ও রেমিট্যান্সের মধ্যে মিসম্যাচ হচ্ছে।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যারা যায় তাদের বেশির ভাগই হোয়াইট কলার জব করে। অনেকেই দেশের ঘরবাড়ি ও জমিজমা বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে চলে যায়। অনেক শিক্ষার্থীও সেদেশে আছে। তারা টাকা পাঠাতে পারে না। তাহলে এত প্রবাসী আয় কারা পাঠাচ্ছে?
এর সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দিয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আড়াই শতাংশ ইনসেন্টিভ বা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, এই সুযোগ নেওয়ার জন্য পাচার হওয়া টাকা প্রবাসী আয় আকারে ফিরিয়ে আনছে।
সোনালীনিউজ/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :