• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ধর্ষণ ও মানহানি

৮৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাম্পকে নির্দেশ  


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জানুয়ারি ২৭, ২০২৪, ১০:১১ এএম
৮৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাম্পকে নির্দেশ  

ঢাকা: ধর্ষণ ও মানহানির মামলায় ৮৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্দেশ দিয়েছে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত।

এই অর্থের মধ্যে ৬৫ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ হিসেবে আর বাকি ১৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার সুনাম ক্ষুণ্নের ক্ষতিপূরণ বাবদ।

মামলার রায়কে ‘সম্পূর্ণ হাস্যকর’ হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে আপিল করার কথা বলেছেন ট্রাম্প। শাস্তিমূলক ক্ষতির অর্থ হচ্ছে, ট্রাম্পের মন্তব্য বাদী ক্যারলের খ্যাতি এবং মানসিক সুস্থতার ক্ষতি করেছে।

আর সুনাম ক্ষুণ্নের জন্য যে জরিমানা করা হয়েছে, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে ট্রাম্প যাতে ক্যারেলের বিরুদ্ধে আর কোনো মন্তব্য মন্তব্য না করেন। নয় সদস্যের বিচারক প্যানেল (সাতজন পুরুষ ও দুই জন নারী) শুক্রবার বিকালে এই রায় দেয়।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এটি নিপীড়িত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চাওয়া প্রতিটি নারীর বিজয়, আর যারা নারীকে দমিয়ে রাখতে চায় তাদের জন্য বিশাল পরাজয়।”

ক্যারলের আইনজীবী রবি ক্যাপলান বলেছেন, “এই রায়ে প্রমাণিত হলো আমাদের দেশে আইন ধনী, খ্যাতিমান, এমনকি সাবেক প্রেসিডেন্টেসহ সবার জন্য প্রযোজ্য।”

ট্রাম্প অবশ্য বরাবরই, এমনকি শুক্রবার সকাল পর্যন্তও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। কিন্তু রায়ের পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশাল’ এ নিন্দা জানিয়ে একটি পোস্ট দেন, তবে সেখানে তিনি ক্যারলকে সরাসরি আক্রমণ করে কিছু বলেননি।

পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “আমি দুটি রায়ের সঙ্গে একেবারেই একমত নই। আমাকে এবং রিপাবলিকান পার্টিকে লক্ষ্য করে বাইডেন নির্দেশিত এই ‘উইচ হান্টের’ বিরুদ্ধে আপিল করব।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের আইনি ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং একে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি আমেরিকা নয়!”

১৯৯০ সালে ‘বার্গডর্ফ গুডম্যান’ নামের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিংরুমে একটি ম্যাগাজিনের কলাম লেখক ক্যারলকে ডনাল্ড ট্রাম্প ধর্ষণ করেছিলেন বলে গতবছর প্রমাণ পায় আদালত।

ক্যারলের অভিযোগ মিথ্যা ছিল, ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের মাধ্যমে তার মানহানি ঘটানোর প্রমাণও পায় আদালত। আর এজন্য ক্যারলকে ৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাম্পকে নির্দেশও দেয়া হয়েছিল। 

২০১৯ সালে ট্রাম্পের আরো কিছু মানহানিকর মন্তব্যের বিষয়ে বিচার শেষে শুক্রবারের রায় দেওয়া হয়।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরো চারটি ফৌজধারি অপরাধের মামলা চলছে। ট্রাম্পই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট, যিনি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়েছেন।

এআর

Wordbridge School
Link copied!