৮১ প্রকার বাহারি পিঠা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসব 

  • গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম
৮১ প্রকার বাহারি পিঠা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসব 

ছবি প্রতিনিধি

গাজীপুর: গাজীপুরের সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুরে স্কুল ও কলেজের পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বানানো ৮১ প্রকার বাহারি রমকের পিঠা নিয়ে এক পিঠা উৎসব পালন করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি পরিচালিত ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কচি-কাঁচা একাডেমি ও নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের তৈরি ৮১ রকমের বাহারি পিঠা নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, বাঙালি ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম একটি ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার ঘরে-ঘরে শীতের পিঠা তৈরি করে আত্বীয়স্বজন, বন্ধু ও প্রিয়জনদের পিঠা খায়ানো বা পিঠা উপহার দেওয়া। তবে কালের পরিবর্তনে এ উৎসব এখন গ্রাম থেকে শহরে এসে ঠাই করে নিয়েছে। আমাদের এই যান্ত্রিক শহরে হাজারও কর্ম ব্যস্তার মাঝেও। আমরা যেনো বাংলার এবং বাঙালির ঐতিহ্য ভূলে না যাই এজন্যই নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালি সংস্কৃতি তুলে ধরতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।

১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী লগ্ন বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালির লোকজ ঐতিহ্য ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহিঃপ্রকাশ। আজকের উৎসবে ৮১ প্রকারের পিঠা প্রদর্শন করা হয়েছে। এত পিঠা একসাথে জীবনেও দেখি নাই, খাওয়া তো দূরের কথা, অনেক পিঠার নাম আজই প্রথম শুনলাম।

এই পিঠা উৎসবে এবার যেসব পিঠ উঠেছে এর মধ্যে হলো: ভাজা পিঠা, সমুচা পিঠা, মালপোয়া পিঠা, মম পিঠা, ম্যারা পিঠা, নাড়ু, মাছ পিঠা, চুই পিঠা, ডালের পিঠা, মালা পিঠা, কলার থামি পুলি পিঠা, ঝিনুক পুলি পিঠা, গোলাপ পিঠা, কদম পিঠা, সিটা পিঠা, পিৎজা চিতই পিঠা, দুধ খেজুর পিঠা, তালের কেক, রস মঞ্জুরি পিঠা, নয়নতারা পিঠা, সুইচ পিঠা, পাতা পিঠা, মুচমুচে পিঠা, শিরিস পিঠা, চানাচুর পিঠা, রসবড়া পিঠা, ভাতফুল পিঠা, লাড্ডু পিঠা, শংখ পিঠা, পায়েস, দুধচিতই, নারিকেল কুলি পিঠা, ক্ষীর পিঠা,পানতোয়া পিঠা, রসের পিঠা, সেমাই পিঠা, নকশি পিঠা, তালপিঠা, গুড়ের পাটিসাপটা পিঠা, ভাপা পুলি পিঠা, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, ডিম পিঠা, জামাই পিঠা, খেজুর গুড়ের পিঠা, পাকন পিঠা, মাংস পিঠা, মুঠা পিঠা, ফুল পিঠা, ডিমের বিস্কুট পিঠা, সুজির পিঠা, মিষ্টিপুলি পিঠা, চিরুনি পিঠা, কামরাঙ্গা পিঠা, কদমফুল পিঠা, ঝাল ও মিষ্টি বড়া পিঠা, রঙ্ধনু পাটিসাপটা, সূর্যমুখী পিঠা, ক্লিপ পিঠা, ডিমচিতই পিঠা, হৃদয়পুলি পিঠা, সিরিঞ্জ পিঠা, রুট পিঠা, গুলগুলি পিঠা, জিলাপি পিঠা, ঝুরি পিঠা, মশলা পিঠা, ইমুজি পিঠা, ডিম সুন্দরী পিঠা, মুখসাপটা পিঠা, ধানসেমাই পিঠা, চন্দ্রকাঠ পিঠা, চ্যাপা পিঠা, চোর পিঠা, মরিচ পিঠা, কাস্টারড, রসপুলি পিঠা, ছুঁই পিঠা, হৃদয়হরন পিঠা, ঝালপুলি পিঠা।

উৎসব আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক তৌফাজ্জল হোসেন বলেন,এবার প্রায় একশত রকমের পিঠা মেলায় উঠেছে। তিনি বলেন,পিঠা উৎসবের আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা। পাশাপাশি দেশের হারিয়ে যাওয়া পিঠা গুলোর আবারও পূণ উজ্জীবিত করা।

ওয়াইএ

Link copied!