যে কারণে নিরাপত্তা চাইলেন ফুয়াদ-সিগমা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম
যে কারণে নিরাপত্তা চাইলেন ফুয়াদ-সিগমা

ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ–৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বুধবার ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এরপর তিনি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

একই দিন কাজী রেহা কবির সিগমা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ও আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিত অভিযোগ দেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সিইসিকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন পক্ষপাতমুক্ত, সুষ্ঠু ও সবার জন্য নির্বিঘ্ন হবে-এমন প্রত্যয় অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের রয়েছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বাধাগ্রস্ত করার উদ্যোগ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে জড়িত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

সিগমা বলেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন এবং এতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। তাঁর কর্মী-সমর্থকেরাও সক্রিয় হয়েছেন। তবে আইনানুগ গণসংযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও ত্রাস তৈরির লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ ন্যক্কারজনকভাবে তৎপর হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক একটার দিকে তাঁর এক নিরপরাধ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ভুয়া মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। এতে কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং নির্বাচনী কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তাঁর কর্মী মো. কিয়ামত আলী একজন নিরীহ ও জনপ্রিয় ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর করা একটি মামলায় তাঁকে আসামি দেখানো হয়েছে, যেখানে তিনি এজাহারভুক্ত নন। অষ্টগ্রাম থানার কাছেই বাড়ি হলেও গত এক বছরে পুলিশ কখনো তাঁর খোঁজ নেয়নি। শুধু কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সিগমা।

অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনকে প্রশ্নাতীত ও সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

পরে গণমাধ্যমকে কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, পুলিশ ভীতি সৃষ্টি করছে। তিনি ও তাঁর কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সে কারণেই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তা শঙ্কা নিয়ে প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ব্যারিস্টার ফুয়াদ এসে অভিযোগ জানিয়েছেন যে পুলিশ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। নির্বাচন কমিশন সার্বিকভাবে সব প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত একটানা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন ও একই সময়সূচিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 

এসএইচ 


 

Link copied!