ছবি: পিআইডি
বহুল আলোচিত ও প্রত্যাশিত জুলাই জাতীয় সনদে সই হয়েছে আজ শুক্রবার বিকেলে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে এই সনদে স্বাক্ষর করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিনিধিরা এবং দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। তবে জুলাই সনদে সই করেনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় জুলাই সনদকে বলা হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক ঐক্যের ভিত্তিপ্রস্তর। এতে রাজনৈতিক সহাবস্থান, নির্বাচনী সংস্কার, মানবাধিকার সুরক্ষা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘এটি শুধু একটি সনদ নয়, এটি একটি প্রতিশ্রুতি-একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা।’
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপি, আওয়ামী প্রগতিশীল ফোরাম, জামায়াতে ইসলামী, গনঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্যসহ প্রায় সব প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির; খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের; রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন; আমার বাংলাদেশ পাটির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ; নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার; জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও মহাসচিব মোমিনুল আমিন; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ; বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীল মাওলানা ইউসুফ আশরাফ ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি মিসেস তানিয়া রব; গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন; বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা জামালী; জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান; ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম; ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ; অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, গণফোরাম বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ এডভোকেট, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, জাকের পাটি আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান, জহিরুল হাসান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর জেলা ছাত্রফ্রন্ট, জাতীয় গণফ্রন্ট আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মঞ্জুরুল আরেফিন লিটু বিশ্বাস, সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা মুসা বিন ইযহার, মহাসচিব, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, চেয়্যারম্যান খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, ভাসানী জনশক্তি পার্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম (বাবলু), চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ (সেলিম), মহাসচিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সহ-সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট মাওলানা আব্দুল কাদের, চেয়ারম্যান মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মহাসচিব, আমজনতার দল কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান (অব:), সভাপতি মোঃ তারেক রহমান, সাধারণ সম্পাদক।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :