ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের (আইএফএফএইচএস) করা ভোটাভুটির মাধ্যমে ২০২৩ সালের সেরা ফুটবলারের চূড়ান্ত তালিকায় আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি হয়েছেন তৃতীয়। আর আইএফএফএইচএস প্রকাশিত বর্ষসেরা ১০ গোলদাতার তালিকায় তো তার নামই নেই।
অথচ গত বছর বিশ্বকাপ জয়ের সুবাদে ফুটবলের ইতিহাস ও রেকর্ড ধারণ করে রাখার সংস্থার তিনটি পুরস্কার জিতেছিলেন মেসি-সেরা খেলোয়াড়, সেরা প্লেমেকার ও সেরা আন্তর্জাতিক গোলদাতা। তবে এবার মেসিকে হয়তো খালি হাতেই ফিরতে হতে পারে।
মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে টপকে বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন আর্লিং হলান্ড। নরওয়ের তরুণ এই স্ট্রাইকার এ বছর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৬০ ম্যাচে করেছেন ৫০ গোল।
১৯৮৮ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে আইএফএফএইচএস। প্রথম নরওয়েজীয় ও ম্যানচেস্টার সিটির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই স্বীকৃতি পেলেন হলান্ড।
চূড়ান্ত ভোটের পর হলান্ডের ধারেকাছেও নেই এমবাপ্পে ও মেসি। হলান্ড পেয়েছেন ২০৮ পয়েন্ট। এমবাপ্পে ১০৫ ও মেসি পেয়েছেন ৮৫ পয়েন্ট। এ বছর সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে (৫৩ গোল) উঠে এলেও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আইএফএফএইচএসের বর্ষসেরা ফুটবলারের সেরা দশেও নেই।
তবে মেসির সামনে এখনো হয়তো আইএফএফএইচএসের পুরস্কার জয়ের সুযোগ আছে। সেরা প্লেমেকার এবং সেরা আন্তর্জাতিক গোলদাতার তালিকা এখনো প্রকাশ করেনি এই সংস্থা।
গত রাতে প্রকাশিত সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারেও আর্জেন্টিনার জন্য বড় সুখবর নেই। বিশ্বকাপজয়ী এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে টপকে ভোটাভুটির মাধ্যমে সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাজিলের এদেরসন। দ্বিতীয় ব্রাজিলিয়ান হিসেবে এ পুরস্কার জিতলেন এদেরসন। ২০১৯ সালে প্রথম ব্রাজিলিয়ান হিসেবে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন লিভারপুলের আলিসন বেকার।
হলান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি সতীর্থ এদেরসন পেয়েছেন ১৪৫ পয়েন্ট, অ্যাস্টন ভিলার মার্তিনেজের পয়েন্ট ৭৬। গত বছর এই পুরস্কার জেতা থিবো কোর্তায়া এবার হয়েছেন তৃতীয়। রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান গোলরক্ষক কোর্তোয়ার অবশ্য পুরস্কার ধরে রাখার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় পুরো মৌসুমটাই যে তাকে মাঠের বাইরে কাটাতে হচ্ছে।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :