• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
আশা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

বিজিপি সদস্যদের দুই-এক দিনের মধ্যেই ফেরত নিয়ে যাবে মিয়ানমার


নিজস্ব প্রতিবেদক  ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৬:২১ পিএম
বিজিপি সদস্যদের দুই-এক দিনের মধ্যেই ফেরত নিয়ে যাবে মিয়ানমার

ঢাকা: নিজেদের দেশে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে বিজিবির কাছে আশ্রয় নেন বিজিপি সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত  

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও অন্য যে কর্মকর্তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন, তাদের দুই-এক দিনের মধ্যেই দেশটি ফেরত নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের ‘সেবা সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু আমাদের দিকে নয়, মিয়ানমারের চতুর্দিকে বিভিন্ন গ্রুপের সব সময়ই যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই আছে। আমাদের বাংলাদেশ অংশেও তাদের আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ চলছে। আমরা দেখছি যুদ্ধটা এতই তীব্র হয়েছে মিয়ানমারের যেই বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) রয়েছে এবং সেখানকার কর্মকর্তা যারা ছিলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যারা ছিলেন তারা কেউ অস্ত্র নিয়ে, কেউ অস্ত্র ছাড়া ঢুকেছে। তাদের জীবনরক্ষার জন্য, যুদ্ধের জন্য ঢোকেনি। তারা যুদ্ধে তাদের জীবনরক্ষার জন্য আমাদের দেশে প্রবেশ করেছেন।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের দেশের বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) তাদের অস্ত্রগুলো রেখে আটক অবস্থায় রেখেছে। যারা আহত ছিল তাদরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানিয়েছি, তাদেরকে ফেরত নেওয়ার জন্য। তারা বলেছে খুব শিগগিরই জাহাজযোগে তারা নিয়ে যাবে। সেজন্য আমাদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি দুই-এক দিনের মধ্যেই তাদেরকে ফেরত নিয়ে যাবে। এখানে আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই, কোনো রকম যুদ্ধ আমাদের সঙ্গে নেই। তারা আত্মরক্ষার্থে, জীবনরক্ষার্থে এখানে আশ্রয় নিয়েছে।’

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি, এমনিতেই ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে রয়েছে। কাজেই রোহিঙ্গা না অন্য কেউ যেই আসুক মিয়ানমার থেকে আমরা কাউকে আর এখানে স্থায়ী হতে দেব না। তারা যদি আত্মরক্ষার্থে আসে তাদের সরকারকে বলেছি তারা নিয়ে যেতে, তারা নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিজিবি, কোস্টগার্ড অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। আমাদের সীমানায় আর আসবে বলে মনে হচ্ছে না।’

বিজিপি সদস্যদের যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণে তাদের কেউ জড়িত ছিল কি না— জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো লিস্ট নেই। তবে আমরা সে সময় দেখেছি মাইলের পর মাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নদীতে লাশ ভেসে আসতে দেখেছি। সেখানে যে গণহত্যা চালাতে আমরা দেখেছি সে সময় তাদের আর্মি দাঁড়ানো ছিল। তবে তারাই গণহত্যা করেছে কি না, জানি না। আন্তর্জাতিক আদালতে এটার বিচার চলছে।’

এমএস

Wordbridge School
Link copied!