• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ দিনের কর্মসূচি ও ডাক্তারদের ‘হুমকি’


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২১, ২০১৭, ০১:৪৯ এএম
পাঁচ দিনের কর্মসূচি ও ডাক্তারদের ‘হুমকি’

ছবি প্রতীকী

ঢাকা: রাজধানী ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পাঁচ দিন কালোব্যাজ ধারণ করবে দেশের সব চিকিৎসকরা। এছাড়া মানববন্ধন ও আগামী মঙ্গলবার (২৩ মে) সারাদেশে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।

একইসঙ্গে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।

কর্মসূচি পালনে চিকিৎসকদের এ সংগঠনটি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার (২০ মে) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রোববার (২১ মে) থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে চিকিৎসকরা কালোব্যাজ ধারণ করবেন। 

হাসপাতালের বাইরে বিকেলেও কালোব্যাজ ধারণ করে সেবা দেবেন চিকিৎসকরা। বিএমএ সব শাখার তত্ত্বাবধানে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার মানববন্ধন পালন করা হবে। সভায় বিএমএ’র কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ নেতারা সম্প্রতি রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে হামলা, মামলা ও ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

পাশাপাশি বিএমএর পক্ষ থেকে গত ১৮ মে সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আফিয়া জাহান চৈতি’র  অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে। আজ শনিবার বিএমএ’র পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বিএমএ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে ইদানীং যেকোনো হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষ হাসপাতালে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের উপর হামলায় লিপ্ত হচ্ছে। অপরদিকে কিছু গণমাধ্যম চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে এক আত্মঘাতী খেলায় মেতে উঠেছেন।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। ভুল চিকিৎসায় যদি রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে মৃত্যুর কারণ উদঘাটন না করে তড়িঘড়ি করে পোস্টমর্টেমের মাধ্যমে মৃতদেহের দাফন করা হলো কেন? কিছু গণমাধ্যম যদি ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে থাকে তাহলে সারাদেশে এত স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের লেখাপড়া শেখানো হচ্ছে কেন?

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় ‘আমরা বলতে চাই, যথেষ্ট হয়েছে আর নয়। আমরা প্রতিবাদী হব এবং আমরা দোষীদের বিচারে যেকোনো কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। সবাইকে স্মরণ করে দিতে চাই, আমরা চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া শিখেছি মানুষের রোগ নিরাময় করার জন্য, কাউকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার জন্য নয়।

সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনার জন্য যিনি মামলা করেছেন তাকেই প্রমাণ করতে হবে রোগীর মৃত্যু হয়েছে ‘অবহেলায়’। অন্যথায় হাসপাতাল ভাঙচুর ও চিকিৎসক লাঞ্ছনার সব দায়িত্ব তাকে বহন করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’ বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!