ঢাকা: রাজধানীতে বাসের চাপায় হাত হারানো রাজীব হোসেনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকদের ভাষায় তিনি ‘কোমা’য় রয়েছেন। কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য রাজীবের স্বজনদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন চিকিৎসকরা।
রাজীবের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. শামসুজ্জামান বলেন, ‘রাজীবের সমস্যা জটিল। তাকে আজ (বুধবার) ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’ মেডিকেল বোর্ডের অন্য এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তার হার্টবিট খুব সামান্য। অবস্থা ভালো বলা যাচ্ছে না।’
গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ঢামেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রাজীবের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। লাইফ সাপোর্টে নেয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। বুধবার ভোর থেকেই মা-বাবা হারানো রাজীবের ছোট দুই ভাই মেহেদি (১২) ও আবদুল্লাহ (১১) হাসপাতালে অপেক্ষা করছে। দুপুরে মেহেদি বলেন, সারা রাত ঘুম আসেনি ভাইয়ের চিন্তায়। ভাই বেঁচে আছেন, না নেই তা জানি না।
রাজীবের খালা জাহানারা বেগম বলেন, ‘রাজীবকে মরা মানুষের মতো দেখা যাচ্ছে। সারা শরীর সাদা হয়ে গেছে। হার্ট চলছে না।
প্রসঙ্গত, ঢাকায় একটি মেসে থেকে সরকারি তিতুমীর কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়ালেখা করছিলেন রাজীব। গত ৩ এপ্রিল পান্থপথের সার্ক ফোয়ারার কাছে ওভারটেক করার সময় বিআরটিসি বাসে থাকা রাজীবের হাত থেঁতলে দেয় স্বজন পরিবহনের একটি বাস। এ সময় ডান হাত বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি মাথায়ও গুরুতর আঘাত পান রাজীব।
সোনালীনিউজ/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :