• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন: বিএনপি


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
শেখ হাসিনার সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন: বিএনপি

ঢাকা : ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গঠিত সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এবং তাদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র এমন মন্তব্য করে বিএনপি বলেছে, সরকার নিজ অস্তিত্বের স্বার্থে-অবৈধ অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে-আদায় করেছে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সমর্থন। যার প্রমাণ স্বরূপ শেখ হাসিনা নিজেই বলেছিল, ‘ভারতকে যা দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখবে’ এবং ওবায়দুল কাদের দাবি করে, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় ভারতই আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়েছিল।’

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির মতো একটি সফল গণতান্ত্রিক দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে। তাই মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছে পাশবিক হাসিনা সরকার ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্রের চিহিত অংশ। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিলো প্রহসনমূলক ও ডামি। ওই নির্বাচনের উদ্দেশ্য জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা আকাক্ষ্খার প্রতিফলন ছিল না। বরং, নির্বাচনের নামে এটি ছিল জাতির সঙ্গে একটি সহিংস প্রতারণা, যার উদ্দেশ্য অবৈধভাবে, অনৈতিকভাবে ও অসাংবিধানিকভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখা।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ, আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাস, রাষ্ট্রযন্ত্রের একাংশের ধ্বংসযজ্ঞ এবং বিতর্কিত দেশসমূহের হস্তক্ষেপে এই সমন্বিত অপশক্তিকে উপেক্ষা করে, জনগণের সমর্থনকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উৎস হিসেবে ধারণ করে-গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবিচল রয়েছে বিএনপি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে, গণতন্ত্রকামী শক্তিসমূহকে সাথে নিয়ে, চলমান আন্দোলনকে চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বিএনপির অদম্য-দুঃসাহসী নেতাকর্মীরা।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষের এই লড়াই, আজ কেবল আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির লড়াই নয়। এই লড়াই, জনবিদ্বেষী সরকারের সকল দোসরের সঙ্গে বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের লড়াই। এটি প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস ও ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী যেসব দেশি-বিদেশি দোসর, তারা সক্রিয়ভাবে গণমানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা খর্ব করে যাচ্ছে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে। অন্যদিকে বিএনপির ক্ষমতার উৎস ও রাজনীতির সঞ্জীবনীশক্তি দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাংলাদেশে যতবার গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে, ততবার লুণ্ঠিত সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে বিএনপি। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে, আমাদের সংগ্রাম ছিল নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ। এর কারণ, আওয়ামী লীগের মতো সহিংস বা অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি নয়, জনমত গঠন ও গণজোয়ার সৃষ্টিই বিএনপির রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য। দেশের প্রায় সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ দ্বারা সমর্থিত, উদার ও সহনশীল রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ধারক দল হিসেবে, বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বিস্তৃত সমাজের প্রতিটি স্তরে ও রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামোতে।’

তিনি বলেন, ‘বানরের পিঠা ভাগের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ, ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কেনো ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার করেছে? এই সময়ে, বিএনপির রাজনীতি করার অপরাধে কেনো ১১ জন কর্মীকে কারাগারে হত্যা করেছে?’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইমলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সিরাজুল ইসলাম, আবুল খায়ের ভুইয়া, তাহসিনা রুশদির লুনা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুন অর রশিদ প্রমুখ।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!