• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
শনিবার থেকে মনোনয়ন দেওয়া শুরু

ইসলামী আন্দোলনের ৩০০ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত


বিশেষ প্রতিনিধি নভেম্বর ১৭, ২০১৮, ০৯:৪৭ পিএম
ইসলামী আন্দোলনের ৩০০ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত

ঢাকা : চরমোনাইর পীরের দল ইসলামী আন্দোলন এককভাবেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৩০০ আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে। দলটি শনিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে প্রার্থীদের মধ্যে হাতপাখা প্রতীকের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু করবে। তবে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলের নায়েবে আমির ও মহাসচিব নির্বাচনে অংশ নেবেন।

চরমোনাইর মরহুম পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম ১৯৮৭ সালের ১৩ মার্চ দেশবরেণ্য ওলামা-মাশায়েখদের নিয়ে ‘ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ এ দল গঠন করেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের শর্তানুযায়ী নিবন্ধন নিতে দলটির নাম পরিবর্তন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাখা হয়।

মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীমের মৃত্যুর পর তার ছেলে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম দলের আমিরের দায়িত্ব পান। ইসলামী আন্দোলন প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে দলটি।

দলীয় সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে ৩০০ আসনেই দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবে এক বছরেরও বেশি সময় আগে থেকেই দলের প্রার্থীদের বিভিন্ন সভা-সমাবেশ এবং ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকায় দলটির আমির পরিচয় করে দিচ্ছেন।

১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সাত দল মিলে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুজন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে এ দল জোট করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে। সে সময় জোটগতভাবে নির্বাচন করে ২৩ আসনে। এরপর থেকে প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন এককভাবে করার চেষ্টা করেছে দলটি।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণ করে ১ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ ভোট পায় দলটি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ২৫০ জনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করলেও সেই নির্বাচনে অংশ নেয়নি দলটি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও প্রার্থী বাছাই কমিটির সদস্য মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রতিটি আসনে আমাদের দলের উপজেলা ও জেলা নেতাকর্মীদের তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চাওয়া হয়। এই তালিকা প্রায় এক বছর যাচাই-বাছাই করে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের কাছে উপস্থাপন করা হয়। এরপর আমির, নায়েবে আমির ও মহাসচিবসহ দলের মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী চূড়ান্ত করে।

প্রার্থী বাছাই কমিটি ও নির্বাচন মনিটরিং কমিটির সদস্য এবং দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ১৭ নভেম্বর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। ওইদিন দলের আমিরের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করবে দলীয় প্রার্থীরা।

তিনি বলেন, আমরা অন্য দলগুলোর মতো মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিক্রির মধ্যে নেই। আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি। যাদের মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা, অর্থনৈতিক ও পারিবারিক অবস্থা, সাংগঠনিক দায়িত্ব ও দক্ষতা বিবেচনা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন— দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ খুলনা-৪, নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বরিশাল-৫ এবং ঝালকাঠি-২, হাফেজ মাওলানা আবদুল আউয়াল খুলনা-২, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ঢাকা-৪, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী ঝালকাঠি-১, মুফতি সৈয়দ মো. নুরুল করীম বরিশাল-৪, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. মাহবুবুর রহমান বরগুনা-১,  মো. গোলাম সরোয়ার হিরু বরগুনা-২, দলের আমেলা সদস্য অ্যাডভোকেট এ কে এম এরফান খাঁ নোয়াখালী-১, শ্রমিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান নোয়াখালী-২, আইন উপদেষ্টা আলহাজ শেখ আতিয়ার রহমান বাগেরহাট-২, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম কুমিল্লা-২, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম কুমিল্লা-৩, দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন ঢাকা-৫, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ আবদুর রহমান ঢাকা-৭, মো. আবুল কালাম কাছেমী মেহেরপুর-১, মাওলানা মো. নাজমুল হুদা কুষ্টিয়া-১, মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান পটুয়াখালী-৪, আলহাজ আবদুল ওয়াহাব ডিহিদার জামালপুর-২, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল ইসলাম শেরপুর-২।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!