• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানি কিশোরীকে ধর্ষণ, ধর্ষক রিমান্ডে


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি এপ্রিল ২৪, ২০১৯, ০৮:২০ পিএম
পাকিস্তানি কিশোরীকে ধর্ষণ, ধর্ষক রিমান্ডে

টাঙ্গাইল: জেলার গোপালপুরের বহুল আলোচিত পাকিস্তানি কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আল-আমিন ও তার ভাই সুমনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস শুনানি শেষে এ রিমান্ড আদেশ দেন। বর্তমানে এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কুড়িগ্রাম থেকে আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা। বুধবার ধর্ষণের মূলহোতা আল-আমিনকে আদালতে পাঠান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই দিন রাতে আল-আমিনের ভাই সুমনকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন মাহবুবের কাছে ২২ ধারার জবানবন্দি দিয়েছে ধর্ষণের শিকার পাকিস্তানি কিশোরী। বর্তমানে কিশোরীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ধর্ষণের শিকার পাকিস্তানি কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল আদালতে জমা দেয়া হবে। কিশোরীর চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালপুর থানা পুলিমের এসআই সাদেকুর রহমান বলেন, ধর্ষণের মূলহোতা আল-আমিন ও তার ভাই সুমনের সাতদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। পরে তাদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তার ভাই সুমন অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিল।

গোপালপুর থানা পুলিশের ওসি হাসান আল মামুন বলেন, ছয় মাসের ভিসা নিয়ে পাকিস্তান থেকে মায়ের সঙ্গে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই কিশোরী। সে পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের নাগরিক এবং সেখানকার ছাত্রী। গত ১৬ এপ্রিল রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় তাকে কাকার বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে তার আপন চাচাতো ভাই। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।

ওই ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল রাতে আল-আমিনসহ তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন কিশোরীর মা। পরে থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৮ এপ্রিল ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দি অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। ওইদিনই আল-আমিনের মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বুধবার (২৪ এপ্রিল) রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!