• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ রাসেলে মিললো এবার অন্যরূপ


ক্রীড়া প্রতিবেদক নভেম্বর ২৭, ২০১৬, ১০:০৫ এএম
শেখ রাসেলে মিললো এবার অন্যরূপ

অসাধারণ, অপ্রতিরোধ্য, দুর্দান্ত। সব উপমা যেন যথাযথ প্রয়োগ হবে জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) বিগ বাজেটের টিম শেখ রাসেলের জন্য। শৈল্পিক ফুটবল খেলে আজ শনিবার মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে শেখ রাসেল।

চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনেকটা অলআউট ফুটবল খেলে মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে লীগের প্রথম ম্যাচে হারের মধুর প্রতিশোধও নিয়েছে শেখ রাসেল। এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেখ রাসেল চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করেছে। এবারের চট্টগ্রাম পর্ব অপরাজিত থেকেই শেষ করলো শেখ রাসেল। বিজিএমসি’র বিরুদ্ধে সর্বশেষ ম্যাচে শেষ মুহুর্তে গোল হজম করে ড্র করলেও বাকি দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে শেখ রাসেল।   

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ফোয়ারা বয়ে দেয় শেখ রাসেল। বামপ্রান্ত থেকে একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণে ৪ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে শেখ রাসেলের সামনে। জামাল ভুইয়ার ক্রস থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে যায় ক্যামেরুনের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় ইকাঙ্গা। কিন্তু তার নেয়া হেড সাইড বার ঘেষে বাইরে চলে যায়। ১৩ মিনিটে বল জালে জড়িয়ে দিলেও শেখ রাসেলকে বঞ্চিত করে বির্তকিত রেফারি আনিসুর রহমান সাগর। বিদেশি সাবেস্টিয়ান এবং রুম্মন নেয়া দেয়া করে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। রুম্মানের নেয়া শট গোলবারে জড়িয়ে গেলেও তা অফ সাইডের ‘অজুহাতে’ বাতিল করে দেয় রেফারি। ৩৫ মিনিটে শেখ রাসেলের অধিনায়ক আতিকুর রহমান মিশুর বাম পায়ের কর্ণার থেকে ইকাঙ্গা দর্শনীয় হেডে লিড নেয় শেখ রাসেল। উল্লাসে মেতে ওঠে শেখ রাসেল। ম্যাচে এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।

৪৪ মিনিটে সংঘবদ্ধ আরেকটি আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ তৈরি হয় শেখ রাসেলের। বামপ্রান্ত থেকে ইকাঙ্গা ডি বক্সে ঢুকে রনির উদ্দেশ্যে মাইনাস করলেও তা পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয়। রনি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও গোল করতে না পারায় নিশ্চিত আরেকটা গোল থেকে বঞ্চিত হয় শেখ রাসেল। ৪৬ মিনিটে ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে তাদের সামনে। মিশুর নেয়া ফ্রি কিক গোলবারের শট নেয় সাবেস্টিয়ান বাম পায়ে শট নিলেও তা সাইড বারে লেগে চলে যায় বাইরে। ৬৩ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে শেখ রাসেলের অধিনায়ক মিশুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় মুক্তিযোদ্ধার খেলোয়াড়। কিন্তু বিষয়টা দেখেও এড়িয়ে যায় রেফারি। ৭২ মিনিটে ফের বাজে রেফারিংয়ের শিকার শেখ রাসেল।

মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক মামুন খান আঘাত করে ইকাঙ্গাকে মাটিতে ফেলে দেয়। কিন্তু লাল কার্ড পাওয়ার মত অপরাধ করলেও রেফারি ফাউল পর্যন্ত দেননি। ৮০ মিনিটে ফের ইকাঙ্গা-মিশুর রসায়নে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। বামপ্রান্ত থেকে মিশুর লবে অসাধারণ হেড করে ব্যবধান দ্বিগুন করে ইকাঙ্গা। এটি ইকাঙ্গারও ম্যাচের দ্বিতীয় গোল। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচ। বিজয়ী বেশে শেখ রাসেল সাজ ঘরে ফিরলেও ম্যাচ শেষে কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের কণ্ঠে শোনা গেছে অফ সাইডের অজুহাতে গোল বাতিল করে দেয়ার আক্ষেপ।

তিনি বলেন, ‘ওটা নিশ্চিত গোল ছিল। কিন্তু কেন অফ সাইড দিল তা বুঝছি না। জিতে গেছি বলে ওই গোল নিয়ে আমরা কথা বলছি না। কিন্তু আর গোল না হলে তা আমাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াত।’  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!