• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ফের বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপের জয়


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ৯, ২০১৭, ০৯:৫৮ এএম
ফের বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপের জয়

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক দ্বিতীয় মেয়াদে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে টিউলিপ লেবার পার্টির হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

৩৪ হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন টিউলিপ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯০৪ ভোট।

এদিকে লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে আবারও ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রূপা হক। লেবার দলীয় প্রার্থী রূপা হকের প্রাপ্ত ভোট ৩৩ হাজার ৩৭।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী জয় মোরিসি পেয়েছেন ১৯ হাজার ২৩০ ভোট।  

গতবার মাত্র ২৭৪ ভোটে জয় পাওয়া রূপা এবার জিতেছেন ১৩ হাজার ৮০৭ ভোটের ব্যবধানে।  

২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে হঠাৎ করে মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণা দেওয়ায় তাকে দুই বছরের মাথায় এ আসনটি ধরে রাখার লড়াইয়ে নামতে হয়।

অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৫২৪টি আসনের ফল জানা গেছে। এতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ২৩৬ আসন। লেবার পার্টি পেয়েছে ২২৭ আসন। এসএনপি ৩১ আসন। লিব ডেম পেয়েছে ১০ আসন। অন্যান্য দল পেয়েছে ২০ আসন।

স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোট নেয়া হয়। ভোটার ছিলেন প্রায় ৪ কোটি ৯ লাখ।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমনসের মোট ৬৫০ আসনের বিপরীতে এবার মোট ৬৮টি দল ও ১৯১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ২ হাজার ৩০৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ইংল্যান্ডে ৫৩৩, স্কটল্যান্ডে ৫৯, ওয়েলসে ৪০ এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডে ১৮টি আসন রয়েছে। সব আসনে একযোগে ভোট নেওয়া হয়। কোনো দল এককভাবে ৩২৬টি আসন পেলেই মিলবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এটি যুক্তরাজ্যে তৃতীয় জাতীয় নির্বাচন। ২০১৫ সালে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি ৩৩০টি আসন পেয়ে এককভাবে ক্ষমতায় ফেরে। ২০১৬ সালের জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকা নিয়ে গণভোট হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইইউতে থাকার পক্ষে ছিলেন। জনগণ বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দিলে ক্যামেরন পরাজয় মেনে পদত্যাগ করেন। এতে থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী হন।

নির্বাচনের কোনো প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই থেরেসা মে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে নিজের ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ করতে হুট করেই এই মধ্যবর্তী নির্বাচন দেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!