• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আনিসুলের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, খালেদা ও রওশনের শোক


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১, ২০১৭, ১০:৩০ এএম
আনিসুলের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, খালেদা ও রওশনের শোক

ঢাকা: দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।

মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, জনকল্যাণ ও সেবামূলক কাজের মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন। জনবান্ধব এই মেয়রের মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন নিবেদিতপ্রাণ জনপ্রতিনিধিকে হারাল।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

এছাড়াও, মেয়রের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি মন্ত্রী) ইঞ্জিনিয়ার খন্দকর মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার লন্ডন স্থানীয় সময় ৪টা ২৩ মিনিটে ওয়েলিংটন হাসপাতালে মারা যান আনিসুল হক। প্রথমে তার মস্তিস্কের প্রদাহজনিত রোগ সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস শনাক্ত করেন চিকিৎসকেরা। পরে আইসিউতে তার ফুসফুসের সংক্রমণও ধরা পড়ে।

প্রয়াত মেয়রের প্রথম জানাজা শুক্রবার বাদ জুমা লন্ডনের রিজেন্ট সেন্ট্রাল পার্ক মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার বাংলাদেশে আনা হবে তার মরদেহ। ওইদিনই বাদ আসর আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবার লন্ডন স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২৩ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে ইন্তেকাল করেন ঢাকার এই দাপুটে মেয়র।

সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় আনা হবে মেয়রের মরদেহ। এদিন তার মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি সিলেট হয়ে দুপুর ১২টায় ঢাকায় পৌঁছাবে।

ডিএনসিসি’র প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন জানান, গত ২৯ জুলাই নাতির জন্ম উপলক্ষে ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্য যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা।

এরপর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি ঘটলে তাকে গত ৩১ অক্টোবর আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। গত সোমবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার থেকে পুনরায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!