• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুবলীগ নেতাকে ধরে নিয়ে চোখ বেঁধে নির্যাতন করল ওসি!


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি অক্টোবর ১১, ২০১৮, ১০:১১ পিএম
যুবলীগ নেতাকে ধরে নিয়ে চোখ বেঁধে নির্যাতন করল ওসি!

নারায়ণগঞ্জ: জাহিদুল ইসলাম স্বপন নামে এক যুবলীগ নেতাকে স্ত্রী-সন্তানের সামনে হাত ও চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে সোনারগাঁ থানার ওসি এবং এসআইয়ের বিরুদ্ধে। পরে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তার নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে নির্যাতনের শিকার জাহিদুল ইসলাম স্বপন বাদী হয়ে ওসি মোর্শেদ আলম ও এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালত শুনানি শেষে একজন এএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত করে আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী মনির হোসেন জানান, জাহিদুল ইসলাম স্বপন (৪২) সোনারগাঁ উপজেলার বড় নগর নগরসাদীপুর গ্রামের ওয়ালিউল্লাহর ছেলে। স্বপন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাতের এপিএস ছিলেন। এছাড়া স্বপন সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক।

সোমবার (৮ অক্টোবর) রাত আড়াইটায় স্বপনের বাড়িতে হানা দেন সোনারগাঁ থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক। এ সময় স্বপনকে ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়ে তার বসতঘরের জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

এতে তাদের নির্দেশ অমান্য করলে স্ত্রী-সন্তানের সামনে চোখ, হাত বেঁধে ঘর থেকে বাইরে বের করা হয় স্বপনকে। এ সময় স্বপনের স্ত্রী ও সন্তানকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।

এরপর স্বপনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে একটি ঘরের ভেতরে নিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওসি ও এসআই।

একপর্যায়ে স্বপন জ্ঞান হারালে তাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে স্বপনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তখন স্বপন আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সোনারগাঁ পৌর যুবলীগের সভাপতি আসাদকে ডেকে নিয়ে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেন ওসি মোর্শেদ।

ওই আইনজীবী আরো জানান, এ ঘটনায় আপাতত দুজন চিকিৎসকসহ ৭ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সোনারগাঁ থানার ওসি মোর্শেদ আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও মোবাইল ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!