• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

তামিম-মুশফিকদের অপেক্ষায় বিমানবন্দরে বিসিবি কর্তারা


ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ১৬, ২০১৯, ০৯:৩০ পিএম
তামিম-মুশফিকদের অপেক্ষায়  বিমানবন্দরে বিসিবি কর্তারা

ছবি: সংগৃহীত

তামিম-মুশফিকদের জন্য বিমানবন্দরে অপেক্ষায় বিসিবি কর্তারা

ঢাকা: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে সফরকারি বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। উগ্র সেতাঙ্গ এক বন্দুকধারীর ৪৯ জন নিরীহ মুসলিমকে হত্যা করেছে। ভয়ঙ্কর বিভীষিকাময় পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর পাঁচটায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে নিউজিল্যান্ড ত্যাগ করেছেন মাহমুদউল্লাহরা।

রাত সাড়ে ১০টার পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখার কথা মুশফিকদের। তামিম-মুশফিকদের ‘মানসিক সমর্থন’ দিতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছে বিসিবির পরিচালকসহ কর্মকর্তা।

নিউজিল্যান্ড থেকে আতঙ্ক নিয়ে দেশে ফিরছেন মুশফিক-তামিমরা। শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে ঘটে যাওয়া লোমহর্ষক ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছেন দলের প্রায় সব ক্রিকেটার। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলাতে কয়েক মিনিটের বিলম্বের কারণে বেঁচে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

আতঙ্কগ্রস্ত ক্রিকেটারদের পাশে থাকতে বিমানবন্দরে যাবেন বোর্ড পরিচালক সহ বিসিবির কর্মকর্তারা। সংস্থাটির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ওরা ফিরে আসছে। এই মুহূর্তে আমাদের আনন্দের আর কিছুই নেই। ঘটনার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা টিকিটের ব্যবস্থা করেছি। এখন ওদের অপেক্ষাতে আমাদের প্রহর কাটছে। আমরা অনেকেই বিমান বন্দরে যাব, তাদের সঙ্গে কথা বলবো, মানসিক সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করব।’

ক্রিকেটারদের বেশিরভাগের বাসা ঢাকাতে। তারা নিজদের গাড়ি করেই ফিরবেন বাসায়। আর যাদের বাড়ি ঢাকার বাইরে, তারা মিরপুরের একাডেমিতে যাবেন বিসিবির গাড়িতে করে।

শুক্রবারের ঘটনা ক্রিকেটারদের মুখে শুনতে স্বাভাবিকভাবেই সংবাদমাধ্যম আগ্রহ নিয়েই বিমানবন্দরে যাবে। যদিও জালাল ইউনুস জানিয়ে রাখলেন, ‘ওদের মুখ থেকে কথা শুনতে সবাই মুখিয়ে আছে। আমরা এ ব্যাপারে কোনও চাপ দেবো না। ওদের মানসিক অবস্থা খুব ভালো হওয়ার কথা নয়। ওরা যদি নিজেরা কথা বলতে আগ্রহী হয়, তাহলে বলবে।’

হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে আল নূর মসজিদে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপার দেড়টার দিকে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অনুশীলন শেষে ওই মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটাররা।

সংবাদ সম্মেলনের জন্য মসজিদে যেতে দেরি হওয়াতেই মূলত বেঁচে যান মুশফিক-তামিমরা। মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় এক নারী বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সতর্ক করেন গোলাগুলির কথা জানিয়ে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়েরা তখন দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত আসেন। ওখান থেকে বাংলাদেশ দলকে বিশেষ নিরাপত্তায় নভোটেল হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

শুক্রবার বিকাল থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাদের ফেরাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। সরকারি পর্যায়েও যোগাযোগ করেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ভিন্ন ভিন্ন ফ্লাইটে ওঠার কথা বললেও একইসঙ্গে ফিরছেন সবাই। বিশেষ ব্যবস্থায় টিকিট পেয়েছেন তামিম-মুশফিকরা। যার কারণে একসঙ্গে ফিরতে পারছে পুরো দল।

ক্রাইস্টচার্চ থেকে বিমানে ওঠার পর টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ জানিয়েছেন, ‘দলের সবাই সুস্থ আছে। প্রত্যেকেই অপেক্ষা করছি নিজের দেশে ফেরার।’

বিমানে থাকা ১৫ ক্রিকেটার হলেন- মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ ও সৌম্য সরকার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!