নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোককারুশিল্প ফাউন্ডেশনে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী মেলা ও লোকজ উৎসব। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) লোকজ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেছেন, বারো ভূইয়ার এক ভূইয়া এই সোনারগাঁয়ে ছিলেন। এই সোনারগাঁয়ে মুক্তিযোদ্ধা যেমন জন্মেছে, সোনার মানুষ জন্মেছে। জাতির পিতা এই সোনারগাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন বলেন শিল্পাচার্জ জয়নাল আবেদীদের হাত ধরে এই কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ লোকশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই আজ সোনারগাঁয়ের জনগণ বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এই বাংলা আগে বাঙালি শাসন করেনি। পিতা তোমার নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ বাঙালিরা শাসন করেছে। এই বাংলা স্বাধীন করতে তিতুমীর রক্ত দিয়েছে, সুভাস চন্দ্র বোস রক্ত দিয়েছে। তারা পারেনি বঙ্গবন্ধু অবশেষে পেরেছে। আমি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। সেদিন সাত মার্চ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বঙ্গবন্ধুকে উৎসাহ দিয়েছিল। তার প্রতিও আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেছেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাস্তা এই সোনারগাঁয়ে তৈরি হয়েছিল, গ্রান্ড ট্র্যাংঙ্ক রোড। লোকশিল্প হাজার হাজার বছর ধরে এখানে চর্চা হচ্ছে। পৃথিবী যেভাবে আমাদের চেনে সেটাই আমাদের কালচার। এ এলাকার নাম বাংলাদেশে কেউ চেনে না এমন মানুষ নেই। এই এলাকার মানুষ মসলিন তৈরি করেছিল। সারা পৃথিবী সোনারগাঁ কে চেনে। এখানকার জনগনের অনেক দাবী আমাদের প্রতিমন্ত্রীর কাছে। সোনারগাঁকে লালন করলে পুরো পৃথিবীতে নাম উজ্জ্বল হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল আলম , জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমূখ।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড.আহমেদ উল্লাহ জানান, করোনা পরিস্থিতির জন্য এ বছর লোকজ উৎসব ১৪ জানুয়ারির পরিবর্তে ২২ ফেব্রুয়ারিতে শুরু করতে হচ্ছে। এ বছর উৎসবে কারুশিল্প প্রদর্শনীর ২৪টি স্টলসহ মোট ১০০টি স্টল স্থান পেয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল দর্শনার্থীকে উৎসবে আসার জন্য আহবান জানান তিনি।
তিনি জানান, উৎসবে লোক কারুশিল্প প্রর্দশনী, লোক জীবন প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বায়াস্কোপ, নাগরদোলা ও গ্রামীন খেলার আয়োজন থাকবে।
লোকজ মঞ্চে প্রতিদিন পরিবেশিত হবে গ্রামীণ লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মাসব্যাপী লোকজ উৎসব শেষ হবে আগামী ২৩ মার্চ। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ উৎসব।
সোনালীনিউজ/এনআই/এসআই
আপনার মতামত লিখুন :