• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নীলফামারীতে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের


আব্দুল গফুর, নীলফামারী আগস্ট ২৩, ২০২২, ০৩:৪২ পিএম
নীলফামারীতে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

নীলফামারী: নীলফামারীতে আখ চাষ করে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছেন কৃষকেরা। কম খরচে অধিক লাভ ও নগদ অর্থে বিক্রয় হওয়ায় দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কৃষকদের।  

কৃষি বিভাগ জানায় অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ার কারণে ডোমার উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এবার আখের আবাদ বেড়েছে। উঁচু জমি ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকায় এ উপজেলায় আখের ভালো উৎপাদন হয়ে থাকে। অন্যান্য ফসলের ন্যায় তুলনামুলক উৎপাদন খরচ কম ও অধিক দামে বিক্রয় হওয়ায় প্রতি বছর বেড়েছে আখ চাষির পরিমান। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় উপজেলায় আখ ক্ষেতে রোগ বালাই কম ও ফলন ভালো হয়েছে। ব্যাপক চাহিদা থাকার কারনে কৃষকরা মাঠেই ভালো দাম পাচ্ছে। বিক্রেতারাও আখ ক্ষেত থেকে চাষীদের কাছ থেকে আখ কিনে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের আখ চাষী জয়নাল আবেদীন, উপেন চন্দ্র রায়, হযরত আলী জানান, প্রায় বারো বছর থেকে আখ চাষ করছি। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি চাষ করেছি। এবার রোগ বালাই অনেক কম হয়েছে। প্রচন্ড গরম হওয়ার কারণে বাজারে আখের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রতি পিছ আখ ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাইব্রীড ঈশ্বরদী-৪১ ও ৪২ জাতের আখ প্রতি বিঘায় (৩৩ শতক) ৮০ হাজার হতে এক লক্ষ টাকার বিক্রি হচ্ছে। 

আখ চাষী এজার উদ্দিন জানান, এক বিঘা জমিতে হাইব্রীড ঈশ্বরদী-৪১ ও ৪২ জাতের আখ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। খরচ বাদ দিয়ে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।

ডোমার উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, এ উপজেলায় যেসব আখ চাষ করা হয়, সবই ইশ্বরদী জাতের। ইশ্বরদী-৪১ ও ৪২ জাতের আখ চাষের উপযোগী এই উপজেলার মাটি। ঈশ্বরদী-৪১ ও ৪২ জাতের আখ ভালো ফলন হয় এবং অন্যান্য জাতের তুলনায় বাজারে চাহিদা বেশী থাকে, দামও ভালো পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. বকুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আখ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে এই উপজেলায়। এবারে ১৩ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় এক হেক্টর বেশি চাষ হয়েছে। আমরা চাষীদের রোগ বালাই দূরীকরণ ও আখের চাষ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে পরামর্শ  দিয়ে যাচ্ছি।

সোনালীনিউজ/এজে/এসআই 

 

Wordbridge School
Link copied!