• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে খুলনা নাগরিক আন্দোলনের ৭ দফা দাবি


খুলনা ব্যুরো জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে খুলনা নাগরিক আন্দোলনের ৭ দফা দাবি

ছবি প্রতিনিধি

খুলনা: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবিলম্বে অসৎ ব্যবসায়ী, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে নাগরিক আন্দোলন খুলনার নেতারা। শনিবার (২০ জানুয়ারি) খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এতে সংগঠনের সমন্বয়ক ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টার নির্দেশ দিলেও বাজারে তার প্রতিফলন নেই। দ্রব্যমূল্যের দাম অসহনীয়ভাবে বেড়েই চলেছে। এটা ধনী শ্রেণির ওপর প্রভাব না পড়লেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের মানুষ। এ সকল সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষ অত্যন্ত কষ্টে দিনাতিপাত করলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি গত দেড় মাসের বাজারের চিত্র তুলে ধরে বলেন,  মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে খুলনায় নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। গত নভেম্বর মাসে চিনির দাম ছিল ১৩৫ টাকা কেজি। দেড় মাসের ব্যবধানে তা বেড়ে ১৪৫ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। নভেম্বরের ১৩০ টাকার মশুরের ডাল এখন ১৪০ টাকা কেজি, তিউনেশিয়ার যে খেঁজুর প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন ৪০০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা থেকে বেঁড়ে এখন ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসির মাংস, ব্রয়লার মুরগি, গরিবের আমিষের অন্যতম উৎস পাঙ্গাস মাছ ও তেলাপিয়াসহ সকল প্রকার মাছের দাম বেড়ে চলেছে। দাম বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে চাল। ভরা মৌসুমেও চালের বাজার অস্থির। বেড়েছে ওষুধের দামও। সব মিলিয়ে নিত্যপণ্যের দাম এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে ৭ দফা দাবি জানানো হয়েছে, সেগুলো হলো— অবিলম্বে অসৎ ব্যবসায়ী মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ; টিসিবিকে সংস্কার করে তাদের কার্যক্রমের মধ্যে যে দুর্নীতি আছে তা দূর করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিস্তৃতি ঘটিয়ে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে তা সহজলভ্যকরণ; খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরিচালিত ‘ওএমএস’ কার্যক্রমের মধ্যে যে, দুর্নীতি আছে তা দূর করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে সহজলভ্যকরণ; রমজান মাসকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অনৈতিক কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করা; যে সকল সংস্থা বাজারের খাদ্যদ্রব্য মনিটরিংয়ে যুক্ত আছে, তাদের দক্ষতা ও সততা নিশ্চিত করা; খাদ্যদ্রব্য মজুদ সংক্রান্ত যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করে তার প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিটি জেলায় নিয়মিত গণশুনানীর আয়োজন করা। এ ছাড়া একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টাস্কর্ফোস নিয়মিত বাজারে অভিযান চালানোর দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আ ফ ম মহসিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল নূর মোহম্মদ, জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী, মোজাম্মেল হোসেন খান, এম এ সবুর প্রমুখ।

ওয়াইএ 

Wordbridge School
Link copied!