খুলনা: হাজতি ও কয়েদির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে খুলনা জেলা কারাগারে । বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা মোতায়েন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতকে কেন্দ্র করে কক্ষে হাজতি হোসেন মুন্সি জেলখানার কয়েদি সেলিমকে (রাইটার) মারধর করেন। সেলিম তার ওয়ার্ডে গিয়ে পরিচিত কয়েদিদের নিয়ে হোসেনকে খুঁজতে বের হন। এ সময় হাজতি ও কয়েদিদের মধ্যে আতঙ্ক-উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে জেলার আবু সায়েম বিষয়টি জানতে পেরে জেলের ভেতরে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দেন।
এরপর আবারও একই আসামিরা একই কায়দায় ডাকচিৎকার শুরু করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে থাকেন। এমনকি কর্তব্যরত কারারক্ষীদের জেলখানা থেকে বের করে দেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিছু অতিরিক্ত কারারক্ষী ভেতর প্রবেশ করলে আসামিরা তাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন এবং তাদেরও বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় জেলখানার পাগলা ঘণ্টা বাজানো হয়। এতে কারাগারের বাইরের পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
অবস্থা বেগতিক দেখে কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টহলরত সেনাবাহিনীকে অবহিত করে। পরে সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি এসে সেখানে অবস্থান নেয়। এতে আশপাশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সেনাবাহিনী আসার পর জেলার আবু সায়েম অতিরিক্ত কারারক্ষী নিয়ে জেলখানার ভেতরে প্রবেশ করেন। তিনি আসামিদের নিজ নিজ সেলে প্রবেশ করান।
খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. রফিকুল ইসলাম কাদের ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এম
আপনার মতামত লিখুন :