ফেনী: সোনাগাজীতে এক তরুণীকে (১৭) ‘ধর্ষণ’ করার অপরাধে এক যুবককে কান ধরে উঠবস করিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন এক ইউপি সদস্য। তরুণীটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই ঘটনার পর কেটে গেছে তিনদিন। এরপরে থানায় অভিযোগ কিংবা মামলা নেয়া হয়নি। পুলিশ বলছে, আগে ধর্ষণের ডাক্তারি রিপোর্ট আসুক, তারপর মামলা।
ঘটনাটি সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের। তরুণীটি ওই এলাকার এক কৃষকের মেয়ে।
তরুণীর পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়, গেল ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টার দিকে মেয়েটি ঘরের বাইরে এসে প্রবাসী বড় ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। এ সময় প্রতিবেশী আবদুস শুক্কুরের ছেলে মাঈনুদ্দিন তাকে জাপটে ধরে। এরপর মুখ চেপে ধরে উঠান থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে ‘ধর্ষণ’ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি ডাক চিৎকার দিতে থাকলে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে ও মাঈনুদ্দিনকে ধরে ফেলে।
পরে গ্রামবাসী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলমগীর হোসেন দুলালকে খবর দিলে তিনি উপস্থিত হয়ে মাঈনুদ্দিনকে ৫০ বার কান ধরে উঠবস করার রায় দেন। তবে সাতবার উঠবস করার পরই অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিচারে তরুণীটির পরিবার সন্তুষ্ট না হয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে থানায় মামলা করতে যান। থানায় মামলা না নেয়ায় তারা আদালতে যান। কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট না থাকায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়। শনিবার পর্যন্ত ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট না পাওয়ায় মামলা হয়নি।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অসিম কুসার সাহা জানান, এখন পর্যন্ত মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। আগামীকাল (রোববার) রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে।
এ ব্যাপারে শালিসে রায় দেয়া ওয়ার্ড মেম্বার আলমগীর হোসেন দুলাল বলেন, স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তরুণীর পরিবারকে মামলা করার কথাও বলা হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবিরকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
সোনালীনিউজডটকম
আপনার মতামত লিখুন :