• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ক্যাটাগরি উন্নতির পথে সোনালী পেপার, রেকর্ড ডেট বৃহস্পতিবার


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৪, ২০২০, ১১:২১ পিএম
ক্যাটাগরি উন্নতির পথে সোনালী পেপার, রেকর্ড ডেট বৃহস্পতিবার

ঢাকা : ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফিরেই সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

শেয়ারবাজারে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেদদেন হওয়া এ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস, মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছে।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। আর লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর)।

সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন ও সুপারিশকৃত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীরা পাওয়ার পর সোনালী পেপারকে স্টক এক্সচেঞ্জের ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হবে।

জানা গেছে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৬১ টাকা। আর ২০২০ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০৭.৮৮ টাকায়। গত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩.৮৮ টাকা।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৯ পয়সা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৬ পয়সা।

চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৮ টাকা ৫৮ পয়সা। যা ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৩০৭ টাকা ৮৮ পয়সা।

বিদায়ী অর্থবছরের মার্চ মাস থেকে বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের কারনে কোম্পানিটির মুনাফা কিছুটা কমেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। নতুন করে অর্থনীতির চাকা সচল হওয়ায় সোনালী পেপারের আয় বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ব্যবসায়িক সাফল্য ও সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে সম্প্রতি অনাপত্তি পত্র পাওয়ার পর সম্প্রতি দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু হয় ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের কোম্পানি সোনালি পেপারের।

বিএসইসির দেয়া উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠিতে বলা হয়, যে কোন দিন থেকে সোনালী পেপারের লেনদেন মূল মার্কেটে চালু করতে পারবে। তবে কোম্পানিটির পরিচালকদের সব শেয়ার এক বছরের জন্য লক-ইন থাকবে। লেনদেনের প্রথম দিন থেকে এই সময় ধরা হয়েছে।

এদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সোনালী পেপারের শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩০ জুন,২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে এনওসিএফপিএস যেখানে ৮০ পয়সা ছিল সেখানে ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে এনওসিএফপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪.৬৪ টাকা।

জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সোনালী পেপার দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ কমিয়েছে ৭৭.৩০ শতাংশ এবং স্বল্প মেয়াদি ঋণ কমিয়েছে ৮.৬১ শতাংশ।

ওটিসিতে যাওয়ার প্রায় ১১ বছর পর সম্প্রতি আবার মূল মার্কেটে ফিরছে সোনালি পেপার। এর আগে ওয়াটা কেমিক্যাল ও আলিফ টেক্সটাইল ওটিসি থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে পুনঃ তালিকাভুক্ত হয়েছে।

সোনালি পেপার ১৯৭৭ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ইউনুস গ্রুপ ২০০৬ সালে কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করে। সোনালি পেপার প্রিন্টিং পেপারসহ বিভিন্ন ধরনের কাগজ উৎপাদন করে। এর বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৩৫ হাজার টন। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

সোনালী পেপার ১৯৭৭ সালে ব্যবসা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের শেয়ার রয়েছে ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ।

সোনালীনিউজ/এলএ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!