• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বেক্সিমকোর গ্রীন সুকুক বন্ডের লেনদেন শুরু


নিজস্ব প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৩, ২০২২, ১০:৫৭ এএম
বেক্সিমকোর গ্রীন সুকুক বন্ডের লেনদেন শুরু

ছবি: সোনালীনিউজ

ঢাকা: সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক আল ইস্তিসনা বন্ডের লেনদেন বৃহস্পতিবার ১১০ টাকায় শুরু হয়েছে। 

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ১১০ টাকায় লেনদেন শুরু হলেও সকাল সাড়ে ১০টায় কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত বন্ডটির ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৮টি ইউনিট এক হাজার ৮৮১ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

জানা গেছে, ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক আল ইস্তিসনা বন্ডের ডিএসইতে ট্রেডিং কোড হচ্ছে : “BEXGSUKUK” এবং কোম্পানি কোড হচ্ছে : ২৬০০৮।

বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক আল ইস্তিসনা বন্ডের লেনদেন শুরু উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ডিএসইতে উপস্থিত ছিলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র চেয়াররম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন ক্রমে প্রতিষ্ঠানটি বাজারে বন্ড ইস্যু করে ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে টাকা উত্তোলনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে তারা।

সুদবিহীন সুকুক বন্ডের এই ৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা ও লাঠশালার চরে এক হাজার একর জমির ওপর ২০০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আরও ৩০ মেগাওয়াটের করতোয়া সোলার লিমিটেড বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে বেক্সিমকো লিমিটেড।

সুকুকের ৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২৬টি প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী দিয়েছে ২ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। বাকি টাকার মধ্যে আন্ডাররাইটার দিয়েছে ১৩৫ কোটি টাকা, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দিয়েছেন ৪২৩ কোটি টাকা। এছাড়া ৩৩৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা দিয়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠান। সুকুকটির ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং ইস্যু ম্যানেজার সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস ও অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।

উল্লেখ্য, সুকুক বন্ড হলো সুদবিহীন বন্ড। এটি শরীয়াহ ভিত্তিক ট্রাস্টির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে মূলত বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়। এসব প্রকল্পের মালিকানার অংশীদার হন সুকুক বন্ডের বিনিয়োগকারীরা, অন্য বন্ডে এই সুযোগ নেই। সুকুক বন্ডের বিনিয়োগ ব্যর্থ হলে ওই প্রকল্পের সম্পদ বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বেক্সিমকোর প্রত্যাশা, সুকুক বন্ডটির ভিত্তি মুনাফা হবে কমপক্ষে ৯ শতাংশ। এর বাইরে সুকুকটি অংশগ্রহণমূলক হওয়ায় বেক্সিমকো লিমিটেডের ঘোষিত লভ্যাংশের সঙ্গে সুকুকের মুনাফার যে ফারাক থাকবে, তার ১০ শতাংশ অতিরিক্ত মুনাফা হিসেবে যুক্ত হবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!