ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এমনকি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান জেইদ রা’দ আল হুসেইন রাখাইন প্রদেশের সহিংসতার ঘটনাকে জাতিগত নিধন বলে সতর্ক করার পরই জরুরি বৈঠক ডাকল সংস্থাটি।
রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচার, নিপীড়ন থেকে জীবন বাঁচতে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম। ইতিমধ্যে প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে ভারতে থাকা প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে রাখাইনে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়ায় দেশটির সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) কাউন্সিলের ৩৬তম অধিবেশনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান ভারতের সমালোচনা করেন।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি পুলিশ চেক পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইন রাজ্যে তাণ্ডব চালায় মিয়ানমার সেনাবহিনী। এর কিছুদিন পরেই দ্বিতীয়বারের মতো সহিংসতা শুরু হয় রাখাইনে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জেইদ রা’দ আল হুসেইন রাখাইনে ‘নৃশংস সামরিক অভিযান’ গুটিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সতর্ক করে বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে অভিযান পরিচালনা করছে তা জাতিগত নিধনের শামিল।
এদিকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নীরব ভূমিকার কারণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য সুচি কেন কিছু করছেন না তা নিয়েও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই তার এই অবস্থানকে দুর্বল রাজনৈতিক কৌশল বলে উল্লেখ করেছেন। সূত্র: আল জাজিরা
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :