• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোজার আগের প্রস্তুতি


লাইফস্টাইল ডেস্ক মার্চ ১৬, ২০২৩, ১১:১৫ এএম
রোজার আগের প্রস্তুতি

ঢাকা: পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। মাসটি বছরের অন্যান্য সময়ের মতো নয়। এ সময় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। যেহেতু সারা বছরের রুটিনের সঙ্গে মিল নেই, তাই সবটা সামলে উঠতে অনেকেরই সময় লেগে যায়। অতিরিক্ত কাজের চাপে ইবাদাতেও বিঘ্ন ঘটে অনেকের। আপনি একটু কৌশল করে নিলেই পুরো রমজান মাসজুড়ে থাকতে পারবেন চাপমুক্ত। সময়ের কাজ সম্পন্ন হবে সময়েই।

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রোজার আগে কোন প্রস্তুতিগুলো নিয়ে রাখবেন-

বাজার-সদাই

রমজানে দুবেলা মূল খাবার। সন্ধ্যায় ইফতার ও ভোররাতে সাহরি। এই দুবেলা খাবারের জন্য বাজারটা করে রাখতে হবে আগেই। রোজা রাকার কারণে দিনের বেলা ক্লান্তি লাগাটা স্বাভাবিক। তাই রোজা রেখে খুব বেশি কাজও করা সম্ভব হয় না। সে কারণে আগেভাগে বাজার করে রাখতে পারলে রোজার সময় কষ্ট করতে হবে না। তাই রমজানে কোন খাবারগুলোর দরকার হবে তা মনে করে একটি তালিকা তৈরি করুন। সেই অনুযায়ী, বাজার করে ফেলুন। এতে কষ্ট কম হবে এবং সময়ও বাঁচবে। তবে খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্ত কেনাকাটা যেন না হয়।

গুছিয়ে রাখা

বাজার কেনার কাজ শেষ হলে গুছিয়ে রাখার পালা। কখন কোন খাবারটি প্রয়োজন হবে সেগুলো সেভাবে গুছিয়ে রাখুন। যেন প্রয়োজনের সময় সব হাতের কাছে পাওয়া যায়। এলোমেলো ছড়িয়ে রাখলে পরবর্তী সময়ে আপনারই কষ্ট হবে খুঁজে বের করতে। তাই বাজার করার পর গুছিয়ে রাখাও জরুরি। কিছু জিনিস থাকে যেগুলো দ্রুত নষ্ট হতে পারে, সেগুলোও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। 

পরিষ্কার করা

এটি একটি বড় কাজ। যদিও আমরা তা বুঝতে পারি না। সুস্থ থাকার জন্য সবকিছুর পরিচ্ছন্নতা জরুরি। রোজা রেখে বাড়ি-ঘর, কাপড় ইত্যাদি পরিষ্কার করতে কষ্ট বেশি হতে পারে। তাই আগেভাগেই পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো সেরে নিন। যে জিনিসগুলো রোজার মাসে বেশি প্রয়োজন হবে, সেগুলো পরিষ্কার করে রাখুন। সবকিছু পরিষ্কার থাকলে আপনার মনও সতেজ থাকবে। ইবাদাতে মন দেওয়া সহজ হবে।

কাজ এগিয়ে রাখা

ইফতারে নানা রকম খাবার খাওয়া হয় নিশ্চয়ই। সেজন্য কিছু কাজ আগেই এগিয়ে রাখতে পারেন। যেমন- বিভিন্ন ফ্রোজেন আইটেম তৈরি করে রাখতে পারেন ইফতারে খাওয়ার জন্য।শরবত তৈরির জন্য সিরাপ তৈরি করে রাখতে পারেন। এতে ইফতারের সময় তাড়াহুড়ো লাগবে না। খুব সহজেই কাজ শেষ করতে পারবেন। প্রয়োজনে ইউটিউব ঘেঁটে ফ্রোজেন ইফতার তৈরির রেসিপি শিখে নিন। এতে আপনার কাজ অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। রমজানেও আপনি থাকতে পারবেন চাপমুক্ত।

শিশুর জন্য

শিশুরা তো বড়দের মতো নয়। তাদের জন্য রোজা রাখার বাধ্য-বাধকতাও নেই। তাই রমজান মাসেও শিশুর খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয়। আপনি রোজা রাখছেন বলে শিশুর খাবারের প্রতি উদাসীন হবেন না। এতে সে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে পারে। শিশু রোজায় কী খাবে, তা আগেভাগেই চিন্তা করে রাখুন। সেই অনুযায়ী বাজার করা এবং তার খাবারগুলো গুছিয়ে রাখার কাজটিও আগে সেরে নিতে পারেন। এতে রোজায় আপনাকে ধকল কম সামলাতে হবে।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!