• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফল খেলে অ্যাসিডিটি হয় না


লাইফস্টাইল ডেস্ক জুলাই ৩, ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
ফল খেলে অ্যাসিডিটি হয় না

ঢাকা : ফলে আছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই সুস্থ থাকতে ডাক্তাররা নিয়মিত ফল খেতে বলেন। কিন্তু অনেকে ফল খেতে ভয় পান। ভাবেন ফল খেলে অ্যাসিডিটি বাড়বে। এই ধারণার বিজ্ঞানসম্মত কোনো যুক্তি নেই।

তবে কারও কারও লেবু জাতীয় ফল খেলে সমস্যা হতে পারে। গলা-বুক জ্বালা করতে পারে। তারা এ ধরনের ফল খাওয়া এড়িয়ে যাবেন। আমাদের সবার পেটেই হজমে সাহায্যকারী অ্যাসিড উপস্থিত থাকে।

কোনো কারণে এই অ্যাসিড খাদ্যনালি বেয়ে ওপরের দিকে উঠে এলেই গলা, বুক জ্বালা করে। মুখ টক হয়ে যায়। আর এই সমস্যার নামই হলো জিইআরডি। যদি জিইআরডি সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফল খেতে হবে। ফলে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে। যার ফলে ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অনেক ধরনের রোগ-ব্যাধি থেকেও দূরে থাকা যায়। সেই সঙ্গে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ফল খান।

এ ছাড়া ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, কোলেস্টেরল ও প্রেশারের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ডায়াবেটিস থাকলে আম, কাঁঠাল, লিচুর মতো ফল কম খেতে হবে। কারণ এসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০-এর বেশি। যার ফলে এসব ফল খেলেই রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

তবে সুগার রোগীরা অনায়াসে আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, খরমুজের মতো লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল খেতে পারেন। তাহলেই সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

বাজারে পাওয়া যায় এমন ফলের জুস খাওয়া বাদ দিতে হবে। কারণ এসব ফলের জুসে মাত্রাতিরিক্ত চিনি এবং প্রিজারভেটিভ থাকে। আর এসব উপাদান শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই বাজারের জুস এড়িয়ে চলতে হবে। বাড়িতে ফলের জুস তৈরি করে খেলে চেষ্টা করবেন চিনি এড়িয়ে যেতে। সবচেয়ে ভালো হয় ফল  কেটে খেয়ে ফেলতে পারলে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!