• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

ভালোবাসার দিনে বসন্ত উৎসব


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২, ০১:৩৫ পিএম
ভালোবাসার দিনে বসন্ত উৎসব

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উন্মুক্ত মঞ্চে বসন্ত উৎসব

ঢাকা : এবারও ঋতুরাজ বসন্ত আর ভালোবাসা দিবস এলো একসঙ্গে জোড়া বেঁধে। ভালোবাসার বিশেষ দিবসটি বসন্ত উৎসবের রঙ ছড়িয়ে হাতে হাত ধরে মিলেমিশেই এসেছে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুবছর উৎসব খানিকটা ফিকে হয়ে গেলেও শীতের রুক্ষতাকে পিছনে ফেলে প্রকৃতিকে আবার নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার আগমনী বার্তা নিয়ে আসে বসন্ত। বসন্ত শুধু প্রকৃতিতেই নয় মানুষের মনেও জাগায় প্রাণের ছোঁয়া। তাই বসন্তের প্রথম দিনটিকে উদযাপন করতে সবাই মেতে ওঠে উৎসবে। নিজেকে সাজিয়ে তোলে বসন্তের রঙে।

ফাগুনের প্রথম দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের সকালে জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদের আয়োজনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো বসন্ত উৎসব। তাতে জীবনের সীমাবদ্ধ বৃত্তকে পেরিয়ে গাওয়া হয় মলয় বাতাসের গান।

সকাল সোয়া ৭টায় উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে ‘বেঙ্গল মিউজিক’ এর বাদ্য পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় বসন্ত উৎসব। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত  চলে বসন্তের আবাহন। কবিতা আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য, লোকগীতি, পল্লীগীতি, আদিবাসীদের পরিবেশনাসহ ‘বসন্তের কথন’ নামে  আলোচনা সভাও ছিল আয়োজনে।

আয়োজনে প্রথমেই বেঙ্গল মিউজিকের শিল্পীরা সমবেত এসরাজ বাদ্যযন্ত্রে পরিবেশন করেন বাসন্তী রাগ। এরপর বসন্তের আবাহন পাঠ করেন বাচিকশিল্পী আহকাম উল্লাহ। সম্মেলক নৃত্য পরিবেশন করেন স্বপ্নবিকাশ কলা কেন্দ্র। ফাল্গুন আর ভালোবাসার মিশ্রণে আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় বসন্তের কথন পর্ব। এই পর্বে উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্থপতি শফি উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বছর করোনাকালের বছর। তবু বসন্ত তার কাল নিয়মে চলে এসেছে। আমরাও সবাই এই বসন্ত উদযাপন করে সেই করোনার যাতনা দূর করতে চাই।

বসন্ত কথন শেষে শুরু হয় আবির মাখার পর্ব। তারপর একে একে মঞ্চে উঠে আসে বসন্তের গান, নৃত্য। তা থেকে বাদ পড়ে না আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠী সংস্কৃতিও।

১৫৮৫ সালে সম্রাট আকবর বাংলা বর্ষপঞ্জি হিসেবে আকবরি সন বা ফসলি সনের প্রবর্তন করেন। তিনি প্রতি বছর ১৪টি উৎসব পালনের রীতিও প্রবর্তন করেন। এর মধ্যে অন্যতম বসন্ত উৎসব। ১৯০৭ সালে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে শান্তিনিকেতনে যাত্রা শুরু করে বসন্ত উৎসব, যা ‘ঋতুরঙ্গ উৎসব’ নামেই পরিচিত।

স্বাধীন বাংলাদেশে এর গোড়াপত্তন গত শতকের নব্বইয়ের দশকে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় ছোট্ট পরিসরে শুরু হয় বসন্ত উৎসব।

পরে বঙ্গাব্দ ১৪০১ সালে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষৎ এর আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় শুরু হয় বসন্ত উৎসব।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!