২১ ঘণ্টাতেও উদ্ধার হয়নি শিশু সাজিদ

  • রাজশাহী ব্যুরো  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ১১:১৩ এএম
২১ ঘণ্টাতেও উদ্ধার হয়নি শিশু সাজিদ

রাজশাহী: রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শিশুটি যে গর্তে পড়ে গেছে সেখানে  তার পাশেই এস্কেভেটরের মাধ্যমে ৪০ ফুট গভীর খনন করা হয়েছে। এখন ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিম খনন করা গর্ত থেকে সেই গর্তে সুড়ঙ্গ করছে। 

কারণ এরপর আর খনন কাজ অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রায় ২১ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, এস্কেভেটর দিয়ে চলমান খননকাজ শেষ হয়েছে। এখন খনন করা গর্ত থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শিশুটি যে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে গেছে, সেখানে ঢোকার চেষ্টা করা হচ্ছে ।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান,  এস্কেভেটরের মাধ্যমে সেখানে ৪০ ফুট গভীর খনন করা হয়েছে। এখন ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিম খনন করা গর্ত থেকে সেই গর্তে সুড়ঙ্গ কাজ করছেন। 

দিদারুল আলম বলেন, আমরা সুড়ঙ্গ করার পর ওই গর্তে যদি শিশুটিকে পাওয়া না যায়, তাহলে আর খনন করা সম্ভব হবে না। নলকূপের গভীরতা ১৫০ থেকে ২০০ ফুট। নলকূপের ভেতরে যেকোনো জায়গায় আটকে থাকার সম্ভাবনা আছে শিশুটির।

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে পরিত্যক্ত গভীর নকলকূপের গর্তে পড়ে যায় দুই বছরের শিশু সাজিদ। প্রথমে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। তারা ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তানোর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে ভেন্টিলেশন দেয়। পরে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আরও চারটি ইউনিট এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। প্রথমে চার্জ ভিশন ক্যামেরার মাধ্যমে গভীর নলকূপের গর্তে শিশুটির অবস্থান বোঝার চেষ্টা করলেও ৩৫ ফুট গভীরে শিশুটির অবস্থান না পাওয়ায় পাশেই এসকেভেটর দিয়ে রাতভর খনন কাজ করা হয়। সকালে ৪০ ফুট খনন শেষে এখন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে।  এলাকার উৎসুক মানুষ শিশুটির জন্য দোয়া করছেন।

এসআই

Link copied!