পিরোজপুর: ইন্দুরকানীতে অতিরিক্ত মালামাল বহন করায় বেইলি ব্রিজ ভেঙে কয়লা বোঝাই একটি ট্রাক খালে পড়ে গেছে।
এতে কলারন-সন্যাসী-মোরেলগঞ্জ-মোংলা-শরণখোলা রুটসহ একাধিক এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ৬ গ্রামসহ সংশ্লিষ্ট এলাকা গুলোর কয়েক হাজার মানুষ।
এ ঘটনার তৃতীয় দিন রোববার (২২ জুন) সকালে দেখা যায়, ডুবে যাওয়া বেইলি ব্রিজের প্লেটগুলো সরানো হলেও ট্রাকটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। বর্তমানে বন্ধ রয়েছে মেরামত কাজ। এর আগে শুক্রবার ভোর রাত ৩ টার দিকে ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর মালবাড়ি এলাকায় ব্রিজ ভেঙে ট্রাকটি খালে পড়ে যায়।
কলারন গ্রামের পল্লী চিকিৎসক গিয়াস উদ্দীন হাওলাদার বলেন, প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়েই আমরা যাতায়াত করি। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যান। এখন বিকল্প কোনো রাস্তা নেই, হেঁটেও পার হওয়া যাচ্ছে না। জরুরী রোগী নিয়ে বের হতে হলে আমরা বড় বিপদে পড়ব। এই ব্রিজই ছিল আমাদের শহরে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। দ্রুত ব্রিজটি মেরামতের দাবী করছি।
একই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা শামীম রিগান বলেন, ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও নেওয়া হয়নি মেরামতের কোনো উদ্যোগ। ফলে এখন চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যেতে পারছে না ক্লাসে। যান চলাচল বন্ধ থাকায়, ভ্যান-রিক্সা চালকরা তাদের পরিবারনিয়ে পড়ছেন বিপাকে। এই ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার না হলে, দিন দিন সমস্যা আরও বাড়বে।
স্থানীয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো: তাওহীদুল ইসলাম বলেন, আজকে একটা পরিক্ষা ছিল অন্য এলাকা ঘুরে অনেক দুর পার হয়ে আসতে হয়েছে। আগামী ২৬ তারিখ আমাদের এইচএসসির আরও একটা পরীক্ষা রয়েছে। এই ব্রিজটি এর আগে মেরামত করা না হলে আমাদের অনেক সমস্যা হবে। বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।
ব্রিজ মেরামত শ্রমিক মিজান সরদার জানান, গতকাল সারাদিন কাজ করেছি। সকাল থেকে এখনো কাজ শুরু করতে পারি নাই। ট্রাক উদ্ধার করা হয় নাই। কালকে আমাদের ক্রেন ট্রাক তুলতে চেয়েছিল তবে ট্রাক মালিক বলেছেন তারা তাদের ক্রেন দিয়ে ট্রাক তুলবে কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কাজ শুরু করে নাই।
ব্রিজ মেরামত ঠিকাদার শাহ জামাল বলেন, ট্রাকটি খাল থেকে তোলা গেলে আমরা আবার কাজ শুরু করতে পারবো। আমরা এখন ট্রাকটি তোলার অপেক্ষায় বসে আছি।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, ব্রিজটির ভাঙা ও পানিতে ডুবে থাকা প্লেট এবং পাতগুলো সরানো হয়েছে। তবে ট্রাকটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ট্রাক মালিক তাদের নিজস্ব ক্রেন দিয়ে ট্রাকটি তুলবেন। ট্রাকটি তোলা হলেই মেরামত কাজ শুরু করা যাবে। আশাকরি আনুমানিক এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিজটি মেরামত করা সম্ভব হবে।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :