গণহত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে আজও জেরা করবেন হাসিনার আইনজীবী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ১২:১১ পিএম
গণহত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে আজও জেরা করবেন হাসিনার আইনজীবী

ফাইল ছবি

ঢাকা: জুলাই-আগস্টের গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে তৃতীয় দিনের মতো জেরা করা হবে আজ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন এই জেরা পরিচালনা করছেন।

বুধবার (৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেলে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা শেষ হয়। ওই দিন আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীর দেওয়া বক্তব্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে সাফাই প্রশ্ন করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগের নানা দিক খণ্ডন করেন। পুরো দিন জেরা চললেও শেষ না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আজ পর্যন্ত মুলতবি করে।

রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এম এইচ তামিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ান, তারেক আবদুল্লাহ ও মামুনুর রশীদসহ আরও অনেকে।

তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর এ মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী। তিনি গত ৩০ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন। তাঁর জবানবন্দিতে বলা হয়, গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটে এবং ৫০টির বেশি জেলায় মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন ভিডিও ও প্রামাণ্যচিত্র আদালতে উপস্থাপন করেন, যেখানে আন্দোলনের সময়কার সহিংসতার দৃশ্য দেখানো হয়। তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে।

এই মামলায় মোট ২৫ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সর্বশেষ সাক্ষীর জেরা শেষ হলে যুক্তিতর্ক শুরু হবে। মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আগেই দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। অন্যান্য সাক্ষীর জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সারাদেশে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে।

ট্রাইব্যুনাল গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। অভিযোগপত্রে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার এই অভিযোগপত্রে রয়েছে দালিলিক প্রমাণ, জব্দ তালিকা ও শহীদদের তালিকা। সাক্ষী করা হয়েছে মোট ৮১ জনকে।

এসএইচ

Link copied!