• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুঃশ্চিন্তায় ৫ সচিবসহ ১২ শীর্ষ কর্মকর্তা!


নিউজ ডেস্ক অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০৩:৪০ পিএম
দুঃশ্চিন্তায় ৫ সচিবসহ ১২ শীর্ষ কর্মকর্তা!

ঢাকা: বেশ কিছুদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে প্রশাসনে।এ অবস্থায় দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন সচিবসহ প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের অন্তত  এক ডজন কর্মকর্তা।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো গত ১৬ অক্টোবর। এর দুইদিন পর পরই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে। 

এছাড়া প্রশাসনের আরও ৫ সচিবসহ অন্ত্যত ১২ জেষ্ঠ্য আমলাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে। সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে!

সূত্র মতে, একটি গোয়েন্দা সংস্থা এই ১২ জনের দৈনন্দিন চলাফেরা, মোবাইল ফোনে যোগাযোগসহ দেশে-বিদেশে তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছে। 

বর্তমান সচিব ও অতিরিক্ত সচিবদের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত কয়েক জন সচিবও এ কাজে যুক্ত হয়েছেন। এদের কারো কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে, সে বিষয়ে শীর্ষমহলে আলোচনা হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদোন্নতিবঞ্চিত কয়েক জন কর্মকর্তা সরকারবিরোধী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছেন এমন কিছু তথ্য নিয়ে আমরা অনুসন্ধান শুরু করি। পরে একাধিক কর্মকর্তার এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত থাকার তথ্য-উপাত্ত আমাদের হাতে আসে। এরপর তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম মনিটরিং শুরু করি। তাতেই মেলে ষড়যন্ত্রের তথ্য। পুরো বিষয়টি সরকারের শীর্ষমহলে জানানো হয়।’ 

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, মকবুল হোসেন পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের উলটো দিকে একটি অফিসে নিয়মিত যাতায়াত করছিলেন। সেই অফিস পরিচালনা করেন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা। সূত্রগুলো বলছে, অভিযুক্ত এসব কর্মকর্তা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ফেলেছিলেন। তাদের কেউ কেউ লন্ডনে যোগাযোগ রেখেছেন এমন তথ্যও অনুসন্ধানে মিলেছে। ফলে গুরুতর অপরাধে জড়িত পাঁচ সচিবকে আগাম অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি সচিব ও অতিরিক্ত সচিব মিলিয়ে যে ১২ জনের তালিকা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে। সবাইকে অবসরে পাঠানো না হলেও কঠোর মনিটরিংয়ে রাখা হবে। 

সরকারের শীর্ষমহল থেকে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার অনুমোদন মিলেছে। ফলে অবসরে পাঠানো কারো কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাটি এদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আলামত সংগ্রহ করছে। 

সূত্র জানায়, প্রশাসনের শুধু এই কর্মকর্তারাই নন, মধ্যম ও জুনিয়র পর্যায়ের কিছু গ্রুপ লন্ডনকেন্দ্রিক যোগাযোগ রাখছে। এসব খবর সরকারের কাছে আছে। এদের মধ্যে যারা চিহ্নিত, তাদের বিভিন্নভাবে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তথ্যসচিবের বিষয়টি কেন্দ্র করে সবাইকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাদের মধ্যে দোটানা ভাব আছে, তাদের বিষয়ে এটি পরিষ্কার বার্তা বহন করবে।

সূত্র-ইত্তেফাক

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!