• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
বিজিবি মহাপরিচালক

সীমান্ত পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরে মোকাবেলা করে যাচ্ছে


কক্সবাজার প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
সীমান্ত পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরে মোকাবেলা করে যাচ্ছে

ছবি : প্রতিনিধি

কক্সবাজার: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে বিজিবি সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করে মানবিক এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি'র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকর্মিরদের তিনি এমন কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বুধবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা এবং আশেপাশের বিজিবি ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং তাঁদের সাথে আলাপ করেন।

এসময় তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারি বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সকল সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং আহত অবস্থায় চিকিৎসারত বিজিপি সদস্যদের দেখতে যান।

পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয়রতদের বিষয়ে বিজিবি প্রধান বলেন, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় মিয়ানমারের সাথে আলাপ আলোচনা করে যাচ্ছেন। যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের সাথে আলাপ করেছি। তারাও দ্রুত ফেরত যেতে আগ্রহী।

সীমান্তে সংঘর্ষের জের ধরে বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্ত অতিক্রম করে গুলি ও মর্টার শেল আসা এবং হতাহতের বিষয়টি প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরা চাই, এপারে যাতে গুলি এসে পড়ার শূণ্যের কোটায় এসে পড়ে।

পরিস্থিতি সার্বিক নজরদারী, স্থানীয় প্রশাসন সহ সরকারের উর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হচ্ছে মন্তব্য করে বিজিবি প্রধান বলেন, বিজিবি সর্বোচ্চ সজাগ এবং ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে বসবাসকারিদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এসআই

Wordbridge School
Link copied!