ঢাকা : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স ইউনিটেও ডাক পেয়েছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা বাঁহাতি পেসার কাজী অনিক। যেখানে ছিলেন তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদের মতো জাতীয় দলের পেসাররা।
২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ৬ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন বাঁহাতি গতিময় পেসার কাজী অনিক। তাকে ভবিষ্যতের বড় তারকা হিসেবেই ধরেছিল সবাই।
এছাড়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা ডায়নামাইটস এবং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলে নিজের ক্যারিয়ার সঠিক পথেই রাখেন তিনি।
কিন্তু এরপর ২০১৮ সালের নভেম্বরে কক্সবাজারে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) একটি ম্যাচে মেথাফেটামিন জাতীয় ড্রাগ ধরা পড়ে অনিকের ডোপ টেস্টে।
অবশেষে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অবশেষে মুক্ত হলেন কাজী অনিক। তার দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি)। এখনও সামনে অনেক সময় আছে বিধায় নিজের ক্যারিয়ার নতুন করে সাজানোর ব্যাপারে প্রত্যয়ী অনিক।
যদিও নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন অনিক। ডোপ পাপের দায়ে তাকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। যা শুরু হয়েছিল ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখ থেকে। এই দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি (রোববার) থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন কাজী অনিক।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হয়ে কাজী অনিক বলেন, আমি খুশি। অবশেষে আমি মুক্ত। নিশ্চিন্তে নিঃশ্বাস নিতে পারছি যেমন। গত দুই বছরে আমি বিসিবি আয়োজিত কোনো ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে থাকতে পারিনি। তবে এখন থেকে খেলার সুযোগের অপেক্ষায় থাকব।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি রাজশাহীতে একটি টুর্নামেন্ট খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে আমি যাইনি কারণে টুর্নামেন্টটি সরাসরি বিসিবি আয়োজিত না হলেও, বিসিবির অনুমতি ছিল সেখানে। তাই আমি কোনো বাড়তি ঝামেলায় জড়াতে চাইনি। শুনেছি শিগগিরই এনসিএলের দল নির্বাচন হবে। আমি সেদিকে তাকিয়ে আছি।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :