• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

মিরাজের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ বীরত্বে রানের পাহাড়ে বাংলাদেশ


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ৭, ২০২২, ০৪:০৪ পিএম
মিরাজের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ বীরত্বে রানের পাহাড়ে বাংলাদেশ

ঢাকা: দারুণ এক সেঞ্চুরি করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একটা সময় মনে হয়েছিল ১৩০ রানও করতে পারবে না বাংলাদেশ। একদম খাদের কিনার থেকে টেনে তুললেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর আগের ম্যাচের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। 

৮৫ রান নিয়ে শেষ ওভার শুরু করেছিলেন মিরাজ। শার্দুল ঠাকুরের প্রথম বলে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে মারলেন ছক্কা। নাকল বল ছিল, তবে টাইমিং করতে সমস্যা হয়নি কোনো। পরের বলটি ছিল ডট। এরপরের বলে মিরাজ যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন আরেকবার, বল পাঠালানের মিডউইকেটের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে। পরের বলে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছিলেন, বাউন্ডারি না হলেও পেয়েছেন ডাবলস। 

শেষ বলে ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিরাজ, শেষ বলে সিঙ্গেল নিলেন, এরপর মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে উদ্‌যাপন করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। সেটিও মাত্র ৮৩ বলেই। উল্লাসে ফেটে পড়ল মিরপুরের গ্যালারি। মিরাজের ৮৩ বলের ইনিংসটি ৮টি চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো। ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। এদিকে মাহমুদউল্লাহ ৯৬ বলে ৭ চারে করেন ৭৭ রান।

১৯ ওভারও হয়নি তখন। ভারতীয় বোলারদের তোপে কোণঠাসা অবস্থা, ৬৯ রানে ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মেহেদি হাসান মিরাজ অন্ধকার কাটিয়ে দলকে আলোর পথ দেখালেন। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে তাদের লড়াকু এক জুটিতে বাংলাদেশ পেলো ৭ উইকেটে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।

মিরাজ পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। মাহমুদউল্লাহর হাফসেঞ্চুরিটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৭তম। সপ্তম উইকেটে তারা ১৬৫ বলে গড়েন ১৪৮ রানের জুটি। যে কোনো উইকেটে যেটি কিনা ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টসভাগ্য সহায় হয় বাংলাদেশের। প্রথম ওয়ানডেতে ফিল্ডিং নিলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।

লিটনের সঙ্গে আজ ওপেন করেন এনামুল হক বিজয়। শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু সেই ভালোটা বেশিক্ষণ রইলো না। ৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১১ রান করা বিজয় জীবন পেয়েও সেটা হেলায় নষ্ট করলেন। মোহাম্মদ সিরাজের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু রোহিত শর্মা সেই ক্যাচ ফেলে দেন। হাতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। পরের বলেই আউট বিজয়।

ওভারের পঞ্চম বলটি বিজয়ের প্যাডে বল লাগলে আবেদন করেন সিরাজ, আম্পায়ারও আঙুল তুলে দেন। অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে পরামর্শ করে রিভিউ নিয়েছিলেন টাইগার ওপেনার। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বল মিডল স্টাম্পে আঘাত হানতো।

এনামুল হক বিজয়ের পর লিটন দাসকেও সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সিরাজ। ভারতীয় এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক (২৩ বলে ৭)। ইনিংসের ১২তম ওভারে উমরান মালিক বল হাতে নিয়েই গতিতে ঝড় তুলেছেন। সাকিব আল হাসানকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে সামলাতে। এক ওভারেই কয়েকবার পরাস্ত হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে ওই ওভারটি মেইডেন দিলেও আউট দেননি সাকিব।

এক ওভার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে পেয়ে আর উইকেট তুলে নিতে দেরি করেননি উমরান। প্রথম বলেই তিনি ১৫১ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতির এক বলে ভেঙে দেন শান্তর স্টাম্প। ৩৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২১ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর সাকিব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ওয়াশিংটন সুন্দরকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আকাশে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২০ বলে ৮ রানেই থামে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ইনিংসটি।

এরপর এক ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। মুশফিক খেলছিলেন বেশ দেখেশুনে। সুন্দরের ঘূর্ণিতে তার প্রতিরোধও ভেঙে যায় ১৯তম ওভারে। মুশফিক ডিফেন্ডই করেছিলেন। বল তার গ্লাভসে লেগে শর্ট লেগ ফিল্ডার ধাওয়ানের হাতে চলে যায়।

২৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। সুন্দরের তার ঠিক পরের বলেই আফিফ হোসেন লাইন মিস করে হন বোল্ড (০)।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!