• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিপিএলে মালিকদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন সাকিবের বার্বাডোজ


ক্রীড়া ডেস্ক অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ০৯:৩৯ এএম
সিপিএলে  মালিকদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন সাকিবের বার্বাডোজ

ঢাকা : আগের ম্যাচের মতো ফাইনালেও ইনিংস বড় করতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। বল হাতে থাকলেন খরুচে। তবে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তার দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। গায়ানার ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে হওয়া ম্যাচে বার্বাডোজ জিতেছে ২৭ রানে।

পুরো টুর্নামেন্টে সব ম্যাচ জিতে ফাইনাল খেলতে নেমেছিল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। প্রতিটি ম্যাচে সবাইকে যেভাবে নাস্তানাবুদ করেছিল গায়ানা, অনেকেই ধরে নিয়েছিল শিরোপা লড়াইয়েও তাদের থাকবে একচ্ছত্র আধিপত্র। কিন্তু না ফাইনালে ঠিকই বাজিমাত করলো বার্বাডোজ।

এনিয়ে ২০১৪ সালের পর আবারও সিপিএলের শিরোপা জিতলো তারা। সাকিবও ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সিপিএল ট্রফি জয় করলেন। ২০১৬ সালে জ্যামাইকা তালাওয়াসের হয়ে প্রথম সিপিএলের শিরোপা জেতেন সাকিব। মজার ব্যাপার হলো, সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল গায়ানা ওয়ারিয়র্স।

ফাইনালে ব্যাটিংয়ে নেমে ছয় উইকেটে ১৭১ রান করেছিল বার্বাডোজ। জবাবে নয় উইকেটে ১৪৪ রান তোলে গায়ানা। সাকিব ব্যাট হাতে ১৫ বলে ১৫ রান করেন। আর বল হাতে দুই ওভারে ১৮ রান দিলেও উইকেটের দেখা পাননি।

টস জিতে ব্যাটিং চাইলেন সাকিবদের দলপতি জেসন হোল্ডার। ওপেনিংয়ে দলকে ৪৩ রানের জুটি এনে দেন জনসন চার্লস ও অ্যালেক্স হেইলস। ৩৯ রনে চার্লসন ও ২৮ রান করে হেইলস। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বার্বাডোজ। সাকিব ১৫ রানে রানআউট হন। তবে জোনাথন কার্টারের ঝড়ো ব্যাটে ১৭২ রানের বিশাল টার্গেট ছুঁড়ে দেয় সাকিব-হোল্ডাররা। ২৭ বলে চারটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন কার্টার। এছাড়া ১৫ বলে ১৯ রান তোলেন নার্স।

জবাবে গায়ানা শুরু থেকে চাপে পড়ে হেটমায়ার ও হেমরাজের উইকেট পতনে। ৫৩ রানে ফিরে যান পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ব্র্যান্ডন কিং ফাইনালে ৩৩ বলে ৪৩ রান করেন। তবে তা জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নয় উইকেটে ১৪৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। কিমো পল ২৫ ও পুরান ২৪ রান নেন। বার্বাডোজের পক্ষে ২৪ রানে চার উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার রেইমন রেইফার।

এবারের আসরে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল গায়ানা ও সাকিবের বার্বাডোজ। লিগ পর্বর দুই ম্যাচের পর প্রথম কোয়ালিফায়ারেও জিতেছিল শোয়েব মালিকরা। তবে প্লে অফে ম্যাচে হারলেও লড়াই করে বুঝিয়ে দেয় নিজেদের দিনে তারাও জেতার মতো সামর্থ্য রাখে। ফাইনালে মঞ্চে সেই কাজটি করলো সাকিব, কার্টাররা। তিনবারের হারের শোধ নিল এক ফাইনাল জিতে।  

ম্যাচ সেরা হয়েছেন কার্টার। নয় ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পেয়েছেন বার্বাডোজের লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশ। সাকিব এবারের আসরে খেলেছেন ছয় ম্যাচ। প্রথম তিন ম্যাচে শিকার করেন চার উইকেট। শেষ তিন ম্যাচে উইকেট পাননি। আর ব্যাট হাতে ছয় ম্যাচে করেছেন ১১২ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস : ১৭১/৬,গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স : ১৪৪/৯

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!