• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় খুশি মাশরাফি!


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ২৩, ২০১৮, ০৫:০১ পিএম
দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় খুশি মাশরাফি!

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৬৬ রান তুলতেই হারিয়েছিল ৩ উইকেট। ৩০তম ওভারে এসে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৩৯। সেখান থেকে স্বাগতিক দলকে উদ্ধার করেন ইমরুল কায়েস (১৪৪) এবং মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন (৫০)। যদি তারা ব্যর্থ হতেন তাহলে কি হত? তবে এ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা।  

সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে দলের ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই সাংবাদিকদের খানিকটা চমকে দিলেন মাশরাফি। জানালেন দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় তিনি খুশিই হয়েছেন।  

পরে অবশ্য তার খুশি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। বললেন, ‘আমার দিক দিয়ে বলব আমি খুশিই হয়েছি। সাইফউদ্দিন রান করেছে। এই পজিশনটা দেখা। আমি আগেও বলছি হয়তো বা এটা আদর্শ পরিস্থিতি না। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে যা হয় আরকি, এই যে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিগুলো যদি আমরা না দেখতাম তাহলে ওদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়ত না, আমাদেরও বাড়ত না।’

তিনি বলেন, ‘অন্য দলের অনেক সময় টপ অর্ডার রান পেলে লেট মিডল অর্ডার এক্সপোজড হয় না। কিন্তু আমাদের লেট মিডল অর্ডার এক্সপোজড হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসতে পেরেছি, এটা কিন্তু আমাদের আরও ওপরে উঠতে সাহায্য করবে। সব সময় যদি আমরা মুশফিক আর রিয়াদে খেলা শেষ করি, বড় মঞ্চে গিয়ে যখন সেটা হবে না, তখন কিন্তু দল বিপদে পড়বে। সুতরাং এটা এক দিক দিয়ে ভালো যে লেট মিডল অর্ডার এক্সপোজড হয়েছে এবং ওরা রান পেয়েছে।’

তবে শুরুতেই দলের ব্যাটিং বিপর্যয় মাশরাফিকে চিন্তিত করছে। বিশেষ করে তাকে ভাবাচ্ছে দলীয় সংগ্রহ তিনশ না পেরুনো নিয়ে। ‘টপ অর্ডারে একজন এক শ করার পরেও রানটা কিন্তু তিন শ হচ্ছে না। সাধারণ টপ অর্ডারের একজন সেঞ্চুরি পেলে দলীয় সংগ্রহটা তিন শ ছাড়িয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এই জায়গাটা চিন্তার। টপ অর্ডারে বড় সংগ্রহের পর পরের দিকে যে সাহায্যটা দরকার সেটা এত পরে আসছে যে রানটা বড় হচ্ছে না। এই জায়গায় একটু মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে।’

একাদশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পর্কে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। ফজলে রাব্বিকে নেওয়া হয়েছে। সে আরও সুযোগ প্রত্যাশা করে। সেটা দিতেও হবে। নাজমুল হোসেন শান্ত বসে আছে, তার সুযোগ পেতে হবে। বসে আছে আরিফুল হকও। আবু হায়দারও আছে। তবে আমাদের ক্লিনিক্যাল হতে হবে। ম্যাচ না হেরে একজন দুজন করে কীভাবে সুযোগ দিতে পারি সেটা দেখতে হবে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!