• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বকেয়া ভূমি কর আদায়ে এক ব্যতিক্রম ধর্মী উদ্যোগ


আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি অক্টোবর ২৩, ২০১৮, ০৬:১১ পিএম
বকেয়া ভূমি কর আদায়ে এক ব্যতিক্রম ধর্মী উদ্যোগ

ছবি: সোনালীনিউজ

বরগুনা : আমতলীতে বকেয়া ভূমি কর আদায়ে আমতলীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কমলেশ চন্দ্র মজুমদার এক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ১৩ জন ভূমি কর বকেয়া জমির মালিককে তার কার্যালয়ে এনে আপ্যায়ন ও পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সচেতন করে বকেয়া ভূমি কর প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণের পর তারা তাদের বকেয়া সমুদয় টাকা পরিশোধ করে দেন।

আমতলী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ভূমি কর বকেয়া থাকা জমির মালিক মো. মাহবুবুল আলম জানান, আমার ৫ বছরের ভূমি কর বাকি ছিল। মঙ্গলবার এসিল্যান্ড স্যারের কথায় মুগ্ধ হয়ে আমার বকেয়া করের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে দেই। গুলিশাখালী গ্রামের সতিশ চন্দ্র কবিরাজ বলেন, আমার দেড় একর জমির কর দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া ছিল। না বুঝে আমি জমির কর বকেয়া রেখেছি। মঙ্গলবার এসিল্যান্ড কমলেশ স্যারে আমাগো বুঝাইয়া বলার পর আমার বকেয়া টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করে দেই।

এভাবেই হলদিয়া, চুনাখালী, আমতলী সদর ও গুলিশাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতায় বকেয়া ভূমি করের ১৩ জন জমির মালিক সচেতন হয়ে নিজ উদ্যোগে তারা বকেয়া ভূমি কর পরিশোধ করেন। এরপর প্রত্যেকের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে কর পরিশোধের রশিদ ও উপহার হিসেবে একটি করে কলম তাদের হাতে তুলে দেন আমতলী উপজেলা সহকারী কমশিনার (ভূমি) কমলেশ চন্দ্র মজুমদার। পরে কর পরিশোধকারীদের মিষ্টি ও চা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। কুকুয়া ইউনিয়নের বকেয়া কর পরিশোধ কারী নূর নেহার বলেন, জমির খাজনা পরিশোধের লইগ্যা মোগো এতদিন এই রহম কেউ বুঝাইয়া কয় নাই। হেই লইগ্যা মোরা টাহাও পরিশোধ করি নাই। এহন অইতে মোরা সবসময় নিয়মিত খাজনার টাহা পরিশোধ করমু।

একই এলাকার আরেক কর পরিশোধকারী হারুন অর রশিদ জানান, স্যারে মোগো মিষ্টি খাওয়াইছে কলম দিছে। হের পর ভালো ভালো কথা কইছে। হের কথা হুইন্যা খুব ভালো লাগজে। হে যেন ব্যামালা দিন মোগে থাহে হেলে আমাগো অনেক হুগার অইবে। আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কমলেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, মানুষকে বুঝিয়ে যে কাজ করা যায় আইনের ভয় দেখিয়েও সে কাজ করা যায় না। বকেয়া ভূমি কর আদায়ের জন্য আমি জমির মালিকদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভা করে তাদের বুঝানোর পর তারা নিজেরাই এখন কর পরিশোধ করছে। এভাবে আমি আমার কাজ অব্যাহত রাখবো।

তিনি আরো বলেন, জমির মালিকরা এখন সহজভাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নামজারিসহ জমি জমা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র তাদের হাতে পাচ্ছে। এখন আর মাসের পর মাস কাগজের জন্য অফিসে কাউকে ঘুরতে হয় না। এ জন্য তিনি সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!