• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সালাহকে ছাড়াই লড়ল মিশর, শেষ মুহূর্তে হার


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ১৫, ২০১৮, ০৮:৪৩ পিএম
সালাহকে ছাড়াই লড়ল মিশর, শেষ মুহূর্তে হার

ঢাকা: মিশর-উরুগুয়ে ম্যাচে সবার নজর ছিল লিভারপুলের তারকা স্ট্রাইকার মোহাম্মদ সালাহর দিকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের পর থেকেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু। সালাহ খেলতে পারবেন তো? তিনি খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী থাকলেও কোচ হেক্টর কুপার তাঁকে উরুগুয়ের বিপক্ষে নামিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি।

তবে সালাহকে ছাড়াই উরুগুয়ের বিপক্ষে দারুন ফুটবল খেলেছে মিশর। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। একদম খেলার শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ ৮৯ মিনিটে হেডে গোল করে বসেন হোসে গিমেনেজ। যোগ করা সময়ে যেটি আর উরুগুয়ের পক্ষে শোধ করা সম্ভব হয়নি।

এ ম্যাচে সালাহকে না নামানোর দুটো কারণ। প্রথমত, তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি না নেওয়া, দ্বিতীয়ত সালাহকে ছাড়া দলের শক্তিমত্তা দেখে নেওয়া। তা শেষে গিয়ে গোলটি খেয়ে না বসলে মিশর ভালোভাবেই এ যাত্রায় উতরে যেত। কিন্তু সেটি না হয় নির্ঘাত সমালোচনার মুখে পড়তে হবে হেক্টর কুপারকে। কেন তিনি সালাহকে নামালেন না?

প্রথমার্ধে উরুগুয়ে-মিশর দুদলই সমানে সমান লড়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায় মিশর। একের পর এক আক্রমণ চালিয়েও গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না এডিনসন কাভানি-লুইস সুয়ারেজরা।  

ম্যাচের আট মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া কাভানির শট ঠেকিয়ে দেন মিশর গোলরক্ষক। এর তিন মিনিটের মাথায় সুযোগ মিস করে মিসর। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে বুক দিয়ে রিসিভ করে পায়ে নিলেও ঠিকমতো লাগাতে পারেননি ত্রেজিগেত।

৩২ মিনিটে তারেক হামিদ ফাউল করেন ডি অ্যারাসকায়েতাকে, বক্সের একটু বাইরে ফ্রি-কিক পায় উরুগুয়ে। এবারও শট নিয়ে মিসরের মিসরের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেননি সুয়ারেজ। শেষ মুহূর্তে এসে চাপিয়ে খেলেছে মিসরও। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে না হতেই দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়ে। এবারও সুয়ারেজ। ৪৭ মিনিটে কাভানির কাছ থেকে বল পেয়ে ডানদিক থেকে বার্সা তারকার শট মিশর গোলরক্ষক এল শেনাউইয়ের পায়ে লেগে একটুর জন্য গোল হয়নি।

৮৩তম মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় সেভটি করেন মিসর গোলরক্ষক। ডি বক্সের একটু বাইরে হেডে কাভানির কাছে বল দেন সুয়ারেজ। দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন কাভানি। লাফ দিয়ে এক হাত ছুঁইয়ে সেই বলটা বাইরে পাঠিয়ে দেন শেনাউই।

৮৭ মিনিটে কাভানিকে ডি বক্সের একটু বাইরে ফাউল করে বসে মিসর। এবার পিএসজি স্ট্রাইকারের দুর্দান্ত শট ফেরত আসে বারে লেগে।তখন মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচ আর উরুগুয়ের পক্ষে জেতা সম্ভব নয়। কিন্তু একদম শেষে গিয়ে অভিজ্ঞতার কাছে হেরে গেল মিশর। ০-১ ব্যবধানে হারলে পিরামিডের দেশের সামনে এখনো দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সৌদি আরব এবং রাশিয়াকে হারাতে পারলেই সেটি সম্ভব।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!