• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

হেনরী ও রিজিয়াকে বহিষ্কারের দাবি সর্বত্র!


বিশেষ প্রতিনিধি জুলাই ২৬, ২০১৭, ০২:২২ পিএম
হেনরী ও রিজিয়াকে বহিষ্কারের দাবি সর্বত্র!

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সর্বস্তরে এখন একটাই দাবি, সম্প্রতি মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়া হেনরী ও রিজিয়ার পদত্যাগ! হেনরী দেশের আলোচিত হলমার্ক কেলেঙ্কারির জন্য পরিচিতি পান। আর রিজিয়া চট্টগ্রামের এক প্রভাবশালী জামায়াত নেতার মেয়ে।

এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। সোশ্যাল মিডিয়াও সরগরম। সর্বত্র দাবি একটাই, রিজিয়া-হেনরীর পদত্যাগ চাই!

সম্প্রতি ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছে মহিলা আওয়ামী লীগ। কমিটিতে বিতর্কিত, অপরিচিত ও হাইব্রিডদের স্থান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আছে ত্যাগী নেত্রীদের ঠাঁই না হওয়ার।

বিশেষ সুপারিশে অপরিচিত অনেকে কমিটিতে জায়গা পাওয়ার কথাও বলছেন। আবার এদের অনেককেই চেনেন না সংগঠনটির নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও। তাই এ নিয়ে দেশে সমালোচনার ঝড় বইছে।

শনিবার (২২ জুলাই) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই
কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন জান্নাত আরা হেনরী। যার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ ছিল।

শুধু তা-ই নয়, সে সময় তিনি কোটি কোটি টাকা অবৈধ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে ছিলেন। তবে সে যাত্রায় রক্ষা পান। হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদকে বাদ দিয়ে ১১ মামলার চার্জশিট অনুমোদনের ফলে পরিচালকদের সঙ্গে তিনিও রেহাই পান।

স্কুলশিক্ষক থেকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য। এখন তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের গর্বিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

এমন বিতর্কিত নেত্রীকে কমিটিতে ঠাঁই নাও দিতে পারতো বলে মন্তব্য করেন কয়েকজন নেত্রী। নাম প্রকাশ না করে বলেন, হেনরী অনেক পাওয়ারফুল মহিলা। তবে দলের জন্য তার চেয়ে নিবেদিত কর্মী অনেক আছে।

নতুন কমিটিতে কার্যকরী সদস্য পদ পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আমির মজলিশে শূরা সদস্য মুমিনুল হক চৌধুরীর মেয়ে রিজিয়া নদভী। রিজিয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক। জামাতের সহযোগী সংগঠন ছাত্রী সংস্থার নেত্রী ছিলেন বলেও অভিযোগ আছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম আযমের শিষ্য হিসেবে পরিচিত আবু রেজা নদভীর স্ত্রী রিজিয়া। স্থানীয় মহিলা লীগের নেত্রীদের অভিযোগ, নদভী ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে সংসদ সদস্য হন।

এ নিয়ে দলের মধ্যে এখনো ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। রিজিয়ার বাবা মমিনুল হক চৌধুরী সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে ১৯৯১ সালে এবং পরে বাঁশখালী আসন থেকে জামায়াতের পক্ষে নির্বাচন করেন।

মহিলা লীগ সভাপতি সাফিয়া খাতুন বলেন, আমরা রিজিয়ার সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা দেখে পদ দিয়েছি। কারো বাবা জামায়াত করলে সে আওয়ামী লীগ করলে দোষ কোথায়? হেনরী বিষয়ে বলেন, সে তো আর দোষী সাব্যস্ত হয়নি। তাই পদ পেয়েছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগের একটি অংশ এই দুই বির্তকিত নেত্রীকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বহিষ্কার করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।  বুধবার (২৬ জুলাই) দলের সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদককে এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!