• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে বাধ্য হন ৮০% শ্রমিক


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১, ২০১৭, ১১:৫৬ এএম
৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে বাধ্য হন ৮০% শ্রমিক

ঢাকা: বাংলাদেশের শ্রম আইনে দৈনিক কর্মঘণ্টা আট ঘণ্টা নির্ধারিত থাকলেও অন্তত ৮০ শতাংশ শ্রমিককে তার বেশি সময় কাজ করানো হয়। সাপ্তাহিক ছুটি থেকেও বঞ্চিত করা হয় এসব শ্রমিককে।

মে দিবসের আগে পাঁচটি শ্রমঘন খাতের শ্রমিকদের কাজের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে। রোববার (৩০ এপ্রিল) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে আসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)।

নিরাপত্তাকর্মী, পরিবহনকর্মী, হোটেল/ রেস্তোরাঁ শ্রমিক, রি-রোলিং মিলের শ্রমিক এবং হাসপাতাল/ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শ্রমিকদের নিয়ে এই গবেষণাটি চালায় বিলস।

বিলস কার্যালয়ে ‘শ্রম পরিস্থিতি-২০১৬ : শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, দূরপাল্লার পরিবহন খাতের শতভাগ শ্রমিকই দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন। এছাড়া রি-রোলিং এর ৯২ ভাগ, হোটেলের ৯৮ ভাগ, হাসপাতালের ৪২ ভাগ ও নিরাপত্তাকর্মীদের ৮০ ভাগ শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন। এসব শ্রমিক সাপ্তাহিক ছুটি থেকেও বঞ্চিত হন।

নিরাপত্তাকর্মীদের ৬৬ ভাগ সাপ্তাহিক ছুটি পান না; ৮৮ ভাগ মে দিবসে ও ৮৬ ভাগ সরকারি ছুটির দিনে ছুটি পান না বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। পরিবহন শ্রমিকদের ৯০ ভাগ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে, ৯৮ ভাগ সরকারি ছুটির দিনে, ৮৪ ভাগ মে দিবসে ছুটি পান না।

হোটেল শ্রমিকদের ৮৬ শতাংশ সাপ্তাহিক ছুটি, ৮২ শতাংশ সরকারি ছুটি ও ৮২ শতাংশ মে দিবসের ছুটিতেও কাজ করেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকায় পাঁচটি খাতের প্রতিটির ৫০ জন করে সর্বমোট ২৫০ জন শ্রমিকের ওপর এই গবেষণা চালায় বিলস।

বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘আইন সব জায়গায় সমান হওয়া উচিত। কারণ জীবনের নিরাপত্তাকে কখনও ভাগ করা যায় না। বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য শ্রমিকদের এক ধরনের নিরাপত্তা, আর প্রান্তিক শ্রমিকের জন্য আরেক ধরনের নিরাপত্তা থাকতে পারে না।’

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!