ঢাকা: টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়ায় অবস্থিত যৌনপল্লী কেন বন্ধ করা হবে না এবং সেখানে থাকা যৌনকর্মীদের কেন পুনর্বাসন করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আমির কুদরত-ই-এলাহী খানের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বোরহান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন; মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব ও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছে আদালত।
বোরহান খান বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী যৌনপল্লী স্থাপন ও পরিচালনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
‘স্থানীয়ভাবে সেখানে একটি উচ্ছেদ কমিটি আছে। ২০১৪ সালে একবার এ যৌনপল্লী উচ্ছেদও করা হয়েছিল। কিন্তু এভাবে উচ্ছেদ করলে আইনের ব্যত্যয় ঘটে। তাই আদালতের আদেশে যদি উচ্ছেদ করা হয় তাহলে আইনের লঙ্ঘন হবে না’ বলেও যোগ করেন এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, কান্দাপাড়া যৌনপল্লীর পাশেই কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ কারণে ওই যৌনপল্লী বন্ধ করে যৌনকর্মীদের পুনর্বাসনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
২০১৪ সালে একবার কান্দাপাড়া যৌনপল্লী উচ্ছেদ করা হলেও হাই কোর্টের আদেশে পরে সেখানে আবারো ফিরে আসে যৌনকর্মীরা।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই