নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি কাছে যে প্রস্তাব দিল জাসদ

  • নিজস্ব প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২১, ০৭:১৮ পিএম
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে জাসদ

ঢাকা : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ করেছে। এতে জাসদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে বসে। এ সময় রাষ্ট্রপতিকে একটি লিখিত প্রস্তাব দেন জাসদ।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসি গঠন নিয়ে আলোচনা হয়। 

আলোচনার শুরুতেই ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিতে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ায় রাষ্ট্রপতিকে সাধুবাদ জানান জাসদের নেতারা।

জাসদ বলছে, সংবিধানে নির্বাচন কশিমন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের তাগিদ থাকলেও এখন পর্যন্ত আইন প্রণীত না হওয়াটা দুঃখজনক। এমন পরিস্থিতিতে জাসদ মনে করে, তুলনামূলক উপযুক্ত ও দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে সার্চ কমিটি গঠনই হবে একটি গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া।

জাসদ সভাপতি বলেন, সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের তাগিদ দেওয়া থাকলেও দুর্ভাগ্যক্রমে এখনও পর্যন্ত সে আইন প্রণীত হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের দল জাসদ মনে করে যে তুলনামূলকভাবে যথোপযুক্ত দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে সার্চ কমিটি গঠন একটি গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে যথোপযুক্ত দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন।

তিনি বলেন, আমাদের দল জাসদ আরও মনে করে যে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে সার্চ কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়াকে সুনির্দিষ্ট ও স্থায়ী কাঠামোগত রূপ দেওয়াসহ নির্বাচন কমিশন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সব বিতর্কের অবসান করা প্রয়োজন।

ইনু বলেন, জাসদ মনে করে, সার্চ কমিটি গঠনে ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করা সমীচীন নয়। আমরা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক সহ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই সার্চ কমিটির সদস্য মনোনয়ন দেওয়া সমীচীন বলে মনে করি।

সংলাপে অংশ নেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশারেফ হোসেন, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার ও রেজাউল করিম তানসেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ