টিকা কিনতে

বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২১, ১২:১২ এএম

ঢাকা : করোনা মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে তিনটি চুক্তির আওতায় ১.০৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা বাংলাদেশকে দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। টিকা কেনার ক্ষেত্রেও এখান থেকে অর্থ ব্যয় করা যাবে।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বব্যাংক জানায়, কোভিড-১৯ মহামারিতে জরুরি প্রতিক্রিয়ার প্রস্তুতি প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন করে সংস্থাটি। এ অর্থ ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দিতে সহায়তা করবে।

এছাড়া এই অর্থ সরকারকে টিকা সংগ্রহ, স্টোরেজ সুবিধা সম্প্রসারণ এবং টিকা বিতরণে খরচ করা হবে। প্রকল্পটি কোভিড শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে জরুরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়ক হবে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মের্সি টেম্বন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিটি বিশ্বজুড়ে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। এখনও বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জগুলো আর্থিক এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে ভালোভাবে মোকাবিলা করছে। তবে টিকা নিশ্চিত, দক্ষতা বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশকে টিকা দিতে সহায়তা করবে। এছাড়া বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে প্রত্যক্ষ বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট এবং প্রসারিত করার পাশাপাশি ই-জিপি ব্যবস্থাকে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিরসরাই-ফেনীতে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর এবং ঢাকার জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে প্রথম ডিজিটাল উদ্যোক্তা কেন্দ্র স্থাপন এবং এই ভবনকে সবুজে রূপান্তরিত করতে প্রকল্পটি সহায়তা করবে। এর ফলে আইটি খাতে আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার মাধ্যমে প্রকল্পটি অর্থনীতিকে কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে প্রত্যাবর্তন করতে সহায়তা করবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, বিশ্বব্যাংকের এ অর্থায়নের ফলে দেশের জনগণকে টিকা দেওয়া সহজ হবে। এটি অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে এবং স্থিতিশীল রাখতে সহযোগিতা করবে। ডিজিটালাইজিং বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের (ডিআইএমএপিপি) ৪০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত অর্থায়ন কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জগুলোর পাবলিক ক্রয় সংস্থায় বাংলাদেশকে ই-জিপি সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।

আগামী ৩০ বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের আইডিএ প্রোগ্রামের সবচেয়ে বেশি অর্থ রয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় মোট ১৪ বিলিয়ন ডলার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই