সাতক্ষীরা: ছাত্রের বৃত্তি পাওয়ার খবর আট মাস গোপন রাখায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেবহাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রণব কুমার।
তিনি বলেন, দেখি তিনি শোকজ নোটিশের জবাব কি দেন? সেটা দেখেই আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। একজন প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্রের বৃত্তি পাওয়ার খবরটি সুসংবাদ, বিদ্যালয়ের সুনাম। অথচ এটা প্রকাশ না করে তিনি গোপন কেন করলেন তার কারণ জানতে আগামী সোমবারের (৯ ডিসেম্বর) মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তবে শনিবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীন বলেন, শিক্ষা অফিসের কোনো নোটিশ আমি পাইনি। আর আমি কোনো ছাত্রের বৃত্তি পাওয়ার খবর গোপন করিনি।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়েছে তাসনিয়া সুলতানা তিশা, রুপালী খাতুন ও আশিকুর রহমান। অথচ দুই শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে বলে ফলাফল প্রচার করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীন। তার বিরুদ্ধে এক ছাত্রের ফলাফল গোপন করার অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়েছে গত ২৪ মার্চ। অথচ এক ছাত্রের বৃত্তি পাওয়ার খবর প্রকাশ করেননি প্রধান শিক্ষক।
গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দেবহাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রণব কুমার জাগো নিউজকে বলেছিলেন, ৩-৪ দিন আগে ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিদ্যালয় থেকে তিনজন বৃত্তি পেয়েছে তবে দুইজনের নাম ঘোষণা করা হলো কেন? তখন প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীন জানান, এটা তার ভুল হয়েছে। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি (প্রধান শিক্ষক)। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীনকে তিরস্কার করা হলেও লিখিতভাবে কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি।
অন্যদিকে পুষ্পকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মীর মোহাম্মদ গাজী বলেছিলেন, ৩-৪ দিন আগে শিক্ষার্থী আশিকুর রহমানের বাবা ফজলুর রহমান আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি রেজাল্টের একটা কপি আমাকে দিয়ে বলেন, প্রধান শিক্ষক আমার ছেলের ফলাফল গোপন করেছেন। রেজাল্ট তালিকায় আমার ছেলে বৃত্তি পেলেও ফলাফল ঘোষণায় তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। আট মাস পর জানতে পারলাম আমার ছেলে বৃত্তি পেয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী আশিকুর রহমানের বাবা কলারোয়া ভূমি অফিসের নায়েব ফজলুর রহমান কোনো মন্তব্য রাজি হননি।
সোনালীনিউজ/এইচএন