বিছার আক্রমনে পাটের লক্ষ্যমাএা অর্জনে শঙ্কায় চাষি

  • রাজবাড়ী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৬, ০৩:৪৪ পিএম

সোনালী আশ খ্যাঁত পাট উৎপাদনে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা আদিকাল থেকেই বিখ্যাত। এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমান পাট উৎপাদন হয়। কিন্তু চলকি পাট মৌসুমে পাট ক্ষেতে বিছা ও ছটকা পোকার আক্রমনে লক্ষ্যমাএা অর্জনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পাট চাষিরা। এদিকে কৃষি অফিস কৃষকদের পরামর্শের কথা বললেও তাতে কোন ফল পাচ্ছে না চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নারুয়া, বালিয়াকান্দি, বহরপুর, ইসলামপুর, নবাবপুর, জামালপুর, জঙ্গলে চলতি পাট মৌসুমে ১২হাজার ২শত ৭৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ও৯৮৯৭ জাতের ৪৫৫ হেক্টর ও ভারতীয় জেআরও ৫২৪ জাতের ১১হাজার ৮শত ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। বিগত বছর ৯হাজার ১শত ৯০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। পাট চাষে আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ থাকায় বাম্পার ফলনের আশা থাকলেও প্রথমদিকে বৃষ্টি না হওয়াসহ বর্তমানে বিছা ও ছটকা পোকার আক্রমনের কারনে লক্ষ্যমাএা অর্জনে বিপর্যয়ের শঙ্কায় ভুগছে কৃষকরা। 

পাটচাষী মাসুদুর রহমান, ক্বারী আব্দুল মজিদ, আঃ সাত্তার জানান, এ বছর পাট চাষে যে পরিমান অর্থ খরচ হয়েছে তা ওঠাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। প্রথমদিকে পাট বপন করার সময় খড়ার কারনে সেচ প্রদান করতে হয়। ঘন ঘন সেচ ও খড়ায় পাট মরে যায়। তারপরও লক্ষ্যমাএা অর্জনের আশা করলেও বর্তমানে বিছা ও ছটকা পোকার আক্রমন হওয়ায় লক্ষ্যমাএা অর্জনে বিপর্যয় হবে। এতে কৃষকের পাট চাষের খরচ উঠবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব খান জানান, বিছা পোকার আক্রমনে গাছ লম্বা হয় না, আর আশ বেশি হয় না। ফলে উৎপাদন হ্রাস পাবে। পাটের বিছা পোকার আক্রমনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ফ্লোরোপাইরিফস স্প্রে করতে হবে। কৃষকদেরকে স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে আশা করা যাচ্ছে ফলন ভালো হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম