ছারপোকা নেই ব্যাচেলরদের এমন ম্যাচ-বাসা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শুতে গেলে কিংবা বিছানায় বসলেও মনে হচ্ছে কিছু একটায় কামড়াচ্ছে। কখনও অফিসে বসে কাজ করার সময়ও চেয়ারের চিপা থেকে বের হয়ে আসে ছারপোকা। এক কথায় এই ছারপোকায় অতিষ্ঠ বাসা কিংবা অফিসের মানুষ।
ছারপোকা উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট অন্যান্য পোষকের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। বিছানা, বালিশ, মশারি, সোফা এদের পছন্দের আবাসস্থল।পুরোপুরি নিশাচর না হলেও ছারপোকা সাধারণত রাতেই অধিক সক্রিয় থাকে এবং মানুষের অগোচরে রক্ত চুষে নেয়। মশার মতো ছোট্ট কামড় বসিয়ে এরা স্থান ত্যাগ করে। তাই বলে যে দিনের বেলায় কামড়াবে না এমন না।
চলুন জেনে নেই এ বিরক্তিকর ছারপোকার হাত থেকে বাঁচতে করণীয়-
১১৩ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে ছারমোকা মারা যায়। ঘরে ছারপোকার আধিক্য বেশি হলে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কাঁথা ও ঘরের ছারপোকা আক্রান্ত জায়গাগুলোর কাপড় বেশি তাপে সেদ্ধ করে ধুয়ে ফেলুন। ছারপোকা মরবেই!
ঘরের যে স্থানে ছারপোকার বাস সেখানে ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করুন। দুই থেকে তিন দিন ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করলে ছারপোকা আপনার ঘর ছেড়ে পালাবে। ছারপোকা তাড়াতে ন্যাপথলিন খুবই কার্যকারী। পোকাটি তাড়াতে অন্তত মাসে দু’বার ন্যাপথলিন গুঁড়ো করে বিছানাসহ উপদ্রবপ্রবণ স্থানে ছিটিয়ে দিয়ে রাখুন। ঘরে ছারপোকা হবে না।
ছারপোকা তাড়াতে মাঝে মধ্যে আসবাবপত্রে কেরোসিনের প্রলেপ দিন। এতে ছারপোকা সহজেই পালাবে। আসবাবপত্র ও লেপ-তোশক পরিষ্কার রাখার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত রোদে দিন। এতে করে ছারপোকার আক্রমণ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ই ছারপোকা থাকলে সেগুলো মারা যাবে।
ছারপোকার হাত থেকে রেহাই পেতে আপনার বিছানা দেয়াল থেকে দূরে স্থাপন করুন। শোয়ার আগে ও পরে বিছানা ভালো করে ঝেড়ে ফেলুন সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। ছারপোকা তাড়াতে অ্যালকোহল ব্যবহার করতে পারেন। ছারপোকাপ্রবণ জায়গায় সামান্য অ্যালকোহল স্প্রে করে করলে ছারপোকা মরে যাবে।
সোনালীনিউজ/এইচএন