ঢাকা: আগামী জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও বিতর্কহীন করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজস্ব অবকাঠামোর পুনর্গঠন করছে। অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি স্তরে করা হচ্ছে সংস্কার। এর মধ্যে রয়েছে ইসির নিয়োগ বিধি সংশোধন, সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মামলা ও পদোন্নতিজট কমানো এবং বিভিন্ন নির্বাচনী মামলা নিষ্পত্তি।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী রোডম্যাপের পাশাপাশি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যেই এমন সংস্কারের পথে হাঁটছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যেই ইসি সংস্কারের একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ও সচিবালয়-সংক্রান্ত প্রস্তাবনা দুটি কমিশন সভায় এক সঙ্গে উত্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কমিশন সচিবালয় ও মাঠপর্যায়ে সংস্কারমূলক কার্যক্রম ইসির কাজে ভারসাম্য আনতে সহায়ক হবে।
কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমারের নেতৃত্বে এ সংস্কার প্রস্তাবনাটি প্রস্তুত হচ্ছে। তবে প্রস্তাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেলেও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সহকারী সচিব রাজিব হাসান খবরের সত্যতা স্বীকার করেন।
সহকারী সচিব রাজিব হাসান সোনালীনিউজকে বলেন, ‘হ্যাঁ’ এ সংক্রান্ত কর্মপন্থার খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। নির্বাচনের রোডম্যাপের সঙ্গে এটিও কমিশন সভায় উত্থাপনের কথা ভাবা হচ্ছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো বাকি প্রায় দুই বছর। কিন্তু নির্ধারিত দেড় বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কমিশন। আসন্ন জুলাই থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে নির্বাচনের ক্ষণ-গণনা বা কাউন্ট-ডাউন।
সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা তৈরি না হয়, সে লক্ষ্যে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে কমিশন। প্রস্তাবিত নির্বাচনী রোডম্যাপে ২২ এজেন্ডায় ১১২ অনুষঙ্গ অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে। এসব কাজ কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাস্তবায়ন করবেন।
সোনালীনিউজডটকম/জেডআরসি/এন