ঢাকা: বনানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি সাফাত আহমেদকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এ সময় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতের সঙ্গে মামলার আরেক আসামি সাদমান সাকিফকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে আইজিপি মো. শহীদুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের সিলেটে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় আনা হচ্ছে।
সাফাত আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে। আর সাদমান (২৪) পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে। ধর্ষণের এই মামলায় সাফাতের আরেক বন্ধু নাঈম আশরাফ (প্রকৃত নাম হালিম) সাফাতের দেহরক্ষী ও গাড়িচালক।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার (৬ মে) ওই তরুণীরা বনানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সফিক, ড্রাইভার বিল্লাল ও সাফাত আহমেদের বডিগার্ড।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাদমান সফিক তাদের পূর্ব পরিচিত। ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে গুলশান-২ নম্বরের ৬২ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে গত ২৮ মার্চ সাফাত আহমেদ তার গাড়ি পাঠিয়ে ড্রাইভার ও বডিগার্ডের মাধ্যমে তরুণীদের বাসা থেকে বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর কোনো ভদ্র লোককে তারা দেখতে পায়নি। পরিবেশ ভালো না লাগায় তারা চলে যেতে চাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের দু’জনকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক মদ্যপান করিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ সময় সাফায়াতের নির্দেশে তার ড্রাইভার বিল্লাল ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। পরবর্তীতে সাফাত তার দেহরক্ষীকে তরুণীদের বাসায় পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ও ভয়ভীতি দেখায়। তাদের হুমকি ও লোকলজ্জার ভয়ে এক পর্যায়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। এ কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ